তটিনী জানান, সাম্প্রতিক সময়ে খুব একটা সময় না পেলেও সুযোগে মালয়ালম সিনেমাই দেখতে ভালো লাগে তাঁর। কারণ সেখানে গল্প আর চরিত্রকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়, যা তাঁকে খুব টানে। বাসিল জোসেফ আর ঋষভ শেঠির কাজ তাঁর প্রিয়। লোকাহ চ্যাপ্টার ১: চন্দ্রা আর দ্য লিংকন লইয়ার সম্প্রতি দেখা। জিবলির অ্যানিমেশন তো তিনি নিয়মিতই দেখেন। বইয়ের ব্যাপারে স্মৃতিটা বরিশালেই আটকে আছে সেখানে তিনি সবচেয়ে বেশি পড়েছেন। সমরেশ মজুমদার, ইমদাদুল হক মিলন, মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন তাঁদের লেখা তিনি খুব পছন্দ করেন। সাম্প্রতিক পড়াগুলোর মধ্যে ছিল ইকিগাই আর সুইট বিন পেস্ট; পরে সেই বইয়ের সিনেমাটাও দেখেছেন।
নিজের সময় কাটানো নিয়ে তটিনীর একরকম আক্ষেপ আছে। টিভিসি করার সময়ে যেটুকু অবসর মিলত, তখন ছবি আঁকা আর মিউজিক দুটোই করতেন। নর্থ সাউথে পড়ার সময় মিউজিক তাঁর জীবনের বড় অংশ ছিল। এখন শুটিংয়ের ব্যস্ততার বাইরে যা সময় পান, তার বেশির ভাগই মায়ের সঙ্গে কাটে। নিজের মতো করে বাঁচা-চলা নিয়েও তাঁর ভাবনা সরল। তিনি মনে করেন, রটে যা তার কিছু হলেও ঘটে। তাই নিজেকে সৎ রাখলে বিতর্কে ভয় থাকে না। তিনি কিছু না করলে দর্শকও তা বুঝবেন। এভাবেই নিজেকে ধরে রাখার চেষ্টা করেন, যাতে বাড়তি ঝামেলায় জড়াতে না হয়।
দ্রুত জনপ্রিয়তা পাওয়া তটিনীর নিজের কাছেই অবিশ্বাস্য লাগে। তিনি বলেন, ক্যারিয়ারে এমন পরিবর্তন যে আসবে এটা তিনি কখনো ভাবেননি। আলোচনায় থাকা, মানুষের ভালোবাসা পাওয়া তাঁকে কৃতজ্ঞ করে তোলে। মাঝেমধ্যে সবকিছুই একটু ভারী লাগে, তাই যত জনপ্রিয়তা বাড়ছে, তত তিনি বেশি নম্র থাকার চেষ্টা করছেন। খ্যাতির কারণে ব্যক্তিগত জীবনে যে সীমাবদ্ধতা আসে, সেটাও তিনি মানেন। যেহেতু তিনি নিজেই ইন্ট্রোভার্ট, তাই খুব বিরক্ত লাগে না। তবে আগের মতো ঘোরাঘুরি, বাবলি স্বভাব এসব কমে গেছে। তবু কাজের আনন্দই তাঁকে ব্যালান্স করে রাখে।
ইন্ডাস্ট্রিতে তেমন বন্ধুও নেই তাঁর। ইয়াশ রোহানের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো, কিন্তু বন্ধুত্ব বলার মতো নয়। তিনি খুব ব্যক্তিগত মানুষ, তাই ইন্ডাস্ট্রিতে কম কথা বলতেই স্বচ্ছন্দ। আর ইয়াশকে নিয়ে প্রেমের গুঞ্জন? তটিনীর ভাষায়, শুরুতে ভয় লাগলেও পরে ভাবেন মানুষ যদি বলেই আনন্দ পায়, বলুক। তাঁদের জুটিকে দর্শক পছন্দ করে এটাই বড় কথা। আর বাস্তবের প্রেম নাটক–সিনেমার মতো নয়; দুজনই জানেন এটা হবে না। তাই এসব নিয়ে ভাবার প্রয়োজনও দেখেন না তিনি।
নতুন সিনেমা তোমার জন্য মন-এ দর্শকদের আগ্রহের কৃতিত্ব তিনি পুরোটা দেন শিহাব শাহীনকে। তাঁর মতে, এই প্রজন্ম খুব কম ভালো পরিচালক পেয়েছে, আর শাহীন তাঁর এক বড় ব্যতিক্রম। তাঁর সঙ্গে কাজ করা তটিনীর জন্য শেখার মতো অভিজ্ঞতা।