অভিনেতা হাসান মাসুদ গত মাসে গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। তিনি ইস্কেমিক স্ট্রোক এবং মাইল্ড হার্ট অ্যাটাকের শিকার হয়েছিলেন। চিকিৎসা শেষে চলতি মাসের ১৬ তারিখে তিনি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান।
সম্প্রতি সুস্থ হয়ে ওঠার পর হাসান মাসুদ তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন। তিনি তার পুরোনো পেশা সাংবাদিকতায় ফিরতে চান বলে ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। উল্লেখ্য, সেনাবাহিনীতে ক্যাপ্টেনের পদ থেকে অবসর নেওয়ার পর তিনি সাংবাদিক হিসেবে কাজ শুরু করেছিলেন। পরে সাংবাদিকতা ছেড়ে তিনি অভিনয়ে ক্যারিয়ার গড়েন।
তবে কিছুকাল পর তিনি হঠাৎ করেই বিনোদন জগৎ থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেন এবং এখন আর তাকে সেভাবে পর্দায় দেখা যায় না। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টিভিতে দেওয়া সাক্ষাৎকারে হাসান মাসুদ বলেন, ‘আমি এখন ঘুরি-ফিরি আর খাই। অভিনয় করি না, টুকটাক বিজ্ঞাপনের কাজ করি।’
তিনি আরও বলেন, ‘ছোটবেলায় আমার স্বপ্ন ছিল- একসময় বিবিসিতে কাজ করব। সেই স্বপ্নটা আমার পূর্ণ হয়েছে। ফলে জীবন নিয়ে এখন আমি খুব একটা অভুক্ত থাকি না। সাংবাদিকতা না করলেও সেটা এখনো ধারণ করি। আমি চেষ্টা করছি সামনে আবার সাংবাদিকতায় ফিরে যাব।’
অভিনয় পেশা তাকে বেশি পরিচিতি এনে দিলেও তিনি সাংবাদিকতাকেই বেশি ভালোবাসেন এবং এই পেশাটিকে বেশি মিস করেন। তার কথায়, ‘হ্যাঁ, অভিনয় আমাকে বেশি পরিচিতি দিয়েছে ঠিকই কিন্তু আমারও তো একটা ব্যাপার আছে। আমার নিজস্ব তো একটা পছন্দের ব্যাপার আছে। তো সেই পছন্দ থেকে আমি সাংবাদিকতাকে বেশি এগিয়ে রাখবো।’
এ সময় নিজের অসুস্থতা প্রসঙ্গে অভিনেতা বলেন, ‘এখন আমি তো একটা মাইল্ড স্ট্রোক থেকে নতুন জীবন লাভ করলাম। এই মাসের ১৬ তারিখে আমি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছি। তো এখন আল্লাহ তাআলা আমার জন্য যা রাখছেন তাই করব। তবে আমার ইচ্ছা আছে আমি কোনো একটি গণমাধ্যমে হেড অব নিউজ হিসেবে কাজ করব।’
প্রসঙ্গত, হাসান মাসুদ ১৯৮৫ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়ে ১৯৯২ সালে ক্যাপ্টেন পদ থেকে অবসর নেন। এরপর তিনি ক্রীড়া সাংবাদিক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন এবং ২০০৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত বিবিসির বাংলা বিভাগে কাজ করেছেন। সাংবাদিকতা ছাড়ার পর মোস্তফা সরয়ার ফারুকী পরিচালিত ‘ব্যাচেলর’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তিনি বিনোদন অঙ্গনে প্রবেশ করেন এবং এরপর তিনি 'মেড ইন বাংলাদেশ' সিনেমা ও অসংখ্য জনপ্রিয় টেলিভিশন নাটকে অভিনয় করেন, যার মধ্যে রয়েছে ‘হাউসফুল’, ‘গ্র্যাজুয়েট’ এবং ‘রঙের দুনিয়া’।