ভারতে প্রাপ্তবয়স্কদের কনটেন্ট নিয়ে নানা ধরনের কঠোর বিধিনিষেধ থাকা সত্ত্বেও, এই ধরনের কনটেন্ট নির্মাণ থেমে নেই। বরং এটি বিভিন্ন ওটিটি প্ল্যাটফর্মে ভিন্ন ভিন্ন নামে প্রচারিত হচ্ছে। ভারতের এই প্রাপ্তবয়স্ক কনটেন্ট এবং এর শিল্পের চ্যালেঞ্জ নিয়েই তৈরি হয়েছে তথ্যচিত্র 'ডার্টি এন্টারটেইনারস: দ্য বিজনেস অব ইন্ডিয়ান ইরোটিকা'। হিনা ডিসুজা পরিচালিত এই তথ্যচিত্রটি তৈরি হয়েছে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম ডকুবের জন্য।

পরিচালক হিনা ডিসুজা জানিয়েছেন, এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত শিল্পীরা সমাজের রক্তচক্ষু এবং ক্রমাগত সেন্সরশিপের সীমাবদ্ধতার মধ্যে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। সিরিজটি নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত আইএন১০ মিডিয়া নেটওয়ার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আদিত্য পিটি বলেন, তাঁদের লক্ষ্য ছিল এমন গল্প তুলে ধরা যা সাধারণত ফিসফিস করে বলা হয় বা গোপনে আলোচনা হয়, কিন্তু প্রকাশ্যে কমই প্রকাশিত হয়। তিনি মনে করেন, বিনোদন জগতের গ্ল্যামার যতটা আলোচিত, তার পাশাপাশি একটি জটিল দিক রয়েছে যা বেশিরভাগ সময় অজানা থেকে যায়।

ডকুবের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা সামার খান উল্লেখ করেন, চলচ্চিত্রটি শুধু শিল্পের জগৎই অন্বেষণ করে না, এটি দেখায় কীভাবে অর্থনীতি, কনটেন্ট, বাণিজ্য ও সেন্সরশিপ একে অপরের সঙ্গে যুক্ত। এসব বিষয় নিয়ে সাধারণত তেমন কাজ হয় না, তবে অনেক চাপ থাকা সত্ত্বেও এই শিল্প যে টিকে আছে, তা তথ্যচিত্রে তুলে ধরা হয়েছে।তথ্যচিত্রটির সহযোগী প্রযোজক অভিষেক গৌতম বলেন, এই তথ্যচিত্র সেই শিল্পীদের প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করছে যাঁরা সাধারণত তাঁদের অভিজ্ঞতা প্রকাশ করেন না। তাঁদের ব্যক্তিগত বক্তব্য তথ্যচিত্রটিকে একটি ভিন্নমাত্রা দিয়েছে। পরিচালক হিনা জানান, তাঁদের লক্ষ্য ছিল প্রাপ্তবয়স্ক কনটেন্টে যাঁরা কাজ করেছেন, তাঁদের সমাজের প্রচলিত ধারণার বাইরে গিয়ে মানুষ হিসেবে দেখানো এবং এই শিল্পের লুকানো বিষয়গুলো সামনে আনা। তাঁর মতে, এটি 'চোখ খুলে দেওয়া এক অভিজ্ঞতা'।

পরিচালক হিনা আরও মনে করেন, সরকারের ক্রমাগত সেন্সরশিপ নীতি এই শিল্পে কাজ করা মানুষদের জীবন আরও কঠিন করে তুলেছে। তাঁর আশা, এই তথ্যচিত্র দেখার পর সাধারণ মানুষের মধ্যে এই শিল্পের প্রতি ধারণা বদলাবে। তিনি চান, দর্শকেরা এই শিল্পকে নতুন চোখে দেখুক এবং শিল্পীদের মানুষ হিসেবে বোঝার চেষ্টা করুক।