ব্যস্ত শহুরে জীবনের কোলাহল থেকে একটু দূরে গিয়ে প্রকৃতিতে ফিরে যাওয়ার অভিজ্ঞতা জানালেন ভ্রমণকারী। গন্তব্য হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়া, যেখানে নিউ সাউথ ওয়েলস থেকে তার যাত্রা শুরু হয়। সেখানে রোদেলা সকালে সমুদ্রের ধারে দাঁড়িয়ে তার মনে হয়েছে এই শহর যেন জীবনের অন্য এক সংস্করণ। ভ্রমণকারী গ্লেডসউড হিলস রিজার্ভে গিয়ে প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যে মুগ্ধ হন। সবুজের সমারোহ, নরম ঘাসে ঢাকা টিলা আর হালকা বাতাস মিলিয়ে সেখানে এক অপূর্ব প্রশান্তি অনুভব করেছেন তিনি। তিনি বলেন, “ব্যস্ত জীবনের চাপের ভেতর এমন দৃশ্য আমাকে গভীরভাবে ছুঁয়ে গেছে। সেখানে বসে বুঝেছি নিজেকে শান্ত করার সবচেয়ে সহজ পথ হলো প্রকৃতির সান্নিধ্যে থাকা।” সবুজ পাহাড়, আঙুর বাগান আর হালকা বাতাস সব মিলে এক স্বপ্নময় পরিবেশ তৈরি করেছে। সন্ধ্যার পর সূর্যাস্তের রঙে যখন আকাশ ভরে উঠল, তার মনে হলো, প্রকৃতি নিজেই যেন তার সঙ্গে কথা বলছে।

পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার ইয়ালিং আপকে তিনি তার ভ্রমণের সবচেয়ে প্রিয় জায়গা হিসেবে উল্লেখ করেন। নীল সমুদ্রের ঢেউ, সাদা বালুর তট, আর চারপাশের নিস্তব্ধতা সব মিলিয়ে যেন পৃথিবীর এক টুকরো স্বর্গ। সেখানে বসে নিজের ভেতরের মানুষটার সঙ্গে অনেকদিন পর আলাপ হয়েছিল তার। শেষে ঘুরে এসেছেন লিউউইন ন্যাচারালিস্ট জাতীয় উদ্যান। বিশাল গাছ, পাখির কলতান আর সূর্যের আলোয় ঝলমল করা পাতাগুলো যেন জীবনের শান্তি ছড়িয়ে দেয়। তার মনে হয়েছে এটিই আসল প্রশান্তি, যেটি আমরা শহরে থেকে হারিয়ে ফেলেছি। এবারের ভ্রমণের কিছু মুহূর্ত তিনি সামাজিক মাধ্যমে বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করেছেন এবং সবাই ইতিবাচক মন্তব্য করেছে। তিনি বলেন, অস্ট্রেলিয়া তাকে নতুন করে জীবনকে ভালোবাসতে শিখিয়েছে এবং এই সফর তাকে মানসিকভাবে চাঙা করেছে। এই ভ্রমণ শুধু একটা যাত্রা নয়, বরং নিজেকে খুঁজে পাওয়ার এক সুন্দর উপলব্ধি। সময় সুযোগ পেলেই আবার সেখানে ঘুরতে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন তিনি।