আগামী ১৭ অক্টোবর স্টার সিনেপ্লেক্সে মুক্তি পেতে চলেছে হলিউডের সায়েন্স ফিকশন অ্যাকশন সিনেমা ‘ট্রন: অ্যারেস’। এটি আমেরিকান ‘ট্রন’ সিরিজের তৃতীয় কিস্তি এবং ২০১০ সালে মুক্তি পাওয়া ‘ট্রন: লিগ্যাসি’-এর সিক্যুয়াল।

জোয়াকিম রনিং পরিচালিত এ ছবির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন জ্যারেড লেটো, গ্রেটা লি, ইভান পিটার্স, জোডি টার্নার-স্মিথ, হাসান মিনহাজ, আর্তুরো কাস্ত্রো, গিলিয়ান অ্যান্ডারসনসহ আরও অনেকে।

সিনেমাটির পটভূমি ও প্রস্তুতি

ফ্র্যাঞ্চাইজি নির্মাতা স্টিভেন লিসবার্গার ২০১০ সালের অক্টোবরে ‘ট্রন: লিগ্যাসি’-এর একটি সিক্যুয়েল নির্মাণের কাজ শুরু করেছিলেন। পরে ২০১৭ সালের মার্চ মাসে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, ফ্র্যাঞ্চাইজিটি সিক্যুয়ালের পরিবর্তে একটি সফট রিবুটের দিকে এগোবে। সেখানে জ্যারেড লেটো অ্যারেসের নামে একটি নতুন চরিত্র প্রযোজনা ও চিত্রায়নের জন্য যুক্ত হন। অ্যারেসের চরিত্রটি মূলত ১৯৭০-এর দশকের শেষের দিকের এক আবেগ থেকে তৈরি, যেখানে কল্পনা করা হয়েছিল যে বুদ্ধিমান জীবন মহাকাশ থেকে না এসে মানুষের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত নয় এমন একটি যন্ত্রের ভেতর থেকে এসেছে।

স্ক্রিপ্টের কিছু অংশ পরিত্যক্ত হওয়ার পরেও নির্মাতারা অ্যারেসের গল্পের মূল ধারণাটি প্রাসঙ্গিকতার কারণে ধরে রাখার সিদ্ধান্ত নেন। ২০২০ সালের আগস্টে গার্থ ডেভিস পরিচালক হিসেবে নিযুক্ত হলেও, তিনি ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে পদত্যাগ করেন। এক মাস পরে রনিং তার স্থলাভিষিক্ত হন। ২০২৩ সালের আগস্টে প্রযোজনা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও, রাইটার্স গিল্ড অফ আমেরিকার ধর্মঘটের কারণে তা বিলম্বিত হয়। অবশেষে ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে ভ্যাঙ্কুভারে ছবিটির চিত্রগ্রহণ শুরু হয় এবং মে মাসে শেষ হয়।

গল্পের মূল দর্শন

ডিজনি ৪৫ বছরের পুরোনো এই সাই-ফাই সিরিজটিকে নতুনভাবে রিবুট করতে চায়, যেখানে আধুনিক যুগের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, মানব নৈতিকতা, এবং প্রযুক্তির নিয়ন্ত্রণের প্রশ্নগুলো তুলে ধরা হবে।

গল্পের কেন্দ্রবিন্দু অ্যারেস নামের একটি অত্যন্ত উন্নত ‘প্রোগ্রাম’, যাকে ‘গ্রিড’ নামের ভার্চুয়াল জগত থেকে বাস্তব জগতে পাঠানো হয়। তার মিশন মানবজাতির সঙ্গে প্রথম সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করা। বিজ্ঞানীরা যে এআই সত্তা তৈরি করেন, অ্যারেস সেই সত্তা, যা মানব বুদ্ধিমত্তার বাইরে উন্নত ক্ষমতা রাখে। অ্যারেসের কাজ মানব ও প্রোগ্রাম দুই জগতের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করা। কিন্তু যখন অ্যারেস বাস্তব জগতে আসে, তখন সে দেখে যে মানুষরা তাকে ভয় পায় এবং তাকে ধ্বংস করতে চায়। ফলে সে দ্বিধায় পড়ে যায়, সে কি মানবতার পক্ষে লড়বে, নাকি নিজের প্রজাতির স্বাধীনতা রক্ষা করবে? এই দ্বন্দ্বই ছবির মূল দর্শন: মানবতা বনাম কৃত্রিম জীবন।