হলিউড অভিনেত্রী সিডনি সুইনি তাঁর অভিনয় এবং ব্যক্তিগত প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে সবসময়ই আলোচনায় থাকেন। ২৮ বছর বয়সী এই তারকা সম্প্রতি ৪৪ বছর বয়সী সংগীত উদ্যোক্তা স্কুটার ব্রৌনের সঙ্গে নতুন সম্পর্কে জড়িয়েছেন। এর আগে তিনি ৪২ বছর বয়সী ব্যবসায়ী জনাথন দাভিনোর সঙ্গে সাত বছর ধরে সম্পর্কে ছিলেন। বরাবরই বয়সে অনেক বড় পুরুষের প্রতি সুইনির আগ্রহ ভক্তদের মনে প্রশ্ন জাগালেও, সম্পর্ক বিশেষজ্ঞ ও যৌন-মনোবিজ্ঞানী সোফি রোস এর একটি ব্যাখ্যা দিয়েছেন। সোফি প্রায় ১৮ বছরের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে বলেন, এই আকর্ষণ মূলত আসে মানসিক নিরাপত্তা, স্থিতি এবং আবেগীয় পরিপক্বতার প্রতি টান থেকে। তাঁর মতে, যেসব মানুষ সম্পর্কের স্থায়িত্ব নিয়ে সন্দিহান থাকেন, তারা প্রায়শই স্থির ও নির্ভরযোগ্য সঙ্গী খোঁজেন, যা বেশি বয়সী পুরুষেরা প্রায়ই দিতে পারেন।

মনোবিজ্ঞানী সোফি রোস আরও মত দেন যে, এই আকর্ষণ সবসময় মানসিক আঘাতের ফল না-ও হতে পারে। অনেক সময় কেউ বয়সের তুলনায় বেশি পরিণত হন এবং অনুভব করেন যে সমবয়সীরা তাঁর মতো পরিপক্ব নয়। তবে সুইনির ক্ষেত্রে তাঁর কঠিন শৈশবের অভিজ্ঞতাও একটি কারণ হতে পারে। শৈশবে মা-বাবার বিচ্ছেদ, আর্থিক সংকট এবং অল্প বয়সে পরিবার দেখভালের দায়িত্ব নেওয়ার মতো অভিজ্ঞতা তাঁর ছিল। সোফির মতে, এমন অভিজ্ঞতা পরবর্তী জীবনে অবচেতনভাবে প্রভাব ফেলে; যদি ছোটবেলায় কাউকে দেখভালের দায়িত্ব নিতে হয়, তবে প্রাপ্তবয়স্ক জীবনে তিনি এমন কাউকে চাইতে পারেন, যিনি সেই দায়িত্ব থেকে মুক্তি দেবেন।

তবে সোফি রোস এ-ও উল্লেখ করেছেন যে, সুইনি যেহেতু আর্থিকভাবে অত্যন্ত সফল (তাঁর সম্পদের পরিমাণ প্রায় ৪০ মিলিয়ন ডলার), তাই এই সম্পর্কগুলো ক্ষমতা বা আর্থিক নির্ভরতার চেয়েও মানসিক সামঞ্জস্যের ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠতে পারে। যদিও সম্প্রতি সাবেক প্রেমিক দাভিনোর সঙ্গে তাঁর এক তীব্র বিতণ্ডা প্রকাশ্যে এসেছে, তবুও ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড ডেইলি মেইল জানিয়েছে, সম্পর্কের সমাপ্তি ঘটলেও সুইনি ও দাভিনো তাঁদের ব্যবসায়িক সম্পর্ক (ফিফটি-ফিফটি ফিল্মস) বজায় রাখছেন। ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে, সম্পর্কের বিচ্ছেদ তাঁদের দুজনকে ব্যথিত করেছে।