আদিত্য ধরের সিনেমা ‘ধুরন্ধর’ বক্স অফিসে সাফল্য পেলেও এর বিষয়বস্তু ঘিরে সমালোচনা থামেনি। চলচ্চিত্র সমালোচকদের পাশাপাশি একাধিক অভিনয়শিল্পীও ছবিটির সহিংসতা ও উপস্থাপন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। এবার সেই তালিকায় যোগ দিলেন অভিনেত্রী রাধিকা আপ্তে। তবে সিনেমাটি নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করতেই উল্টো তাঁকেই ট্রলের মুখে পড়তে হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
কী বললেন রাধিকা
ভারতীয় সিনেমায় কি এখন শুধু রক্তারক্তি আর হিংসার দাপট? সাম্প্রতিক এক মন্তব্যে এমনই প্রশ্ন তুলেছেন রাধিকা। তাঁর মতে, করোনা-পরবর্তী সময়ে বক্স অফিস চাঙা রাখতে কিংবা দর্শকের রুচি বদলের অজুহাতে সিনেমা ও সিরিজে অতিরিক্তভাবে অ্যাকশন ও সহিংসতা ঢোকানো হচ্ছে। এই প্রবণতা নতুন নয়, তবে গত কয়েক বছরে তা আরও চোখে পড়ার মতো হয়েছে।
নারী চরিত্রের উপস্থাপন নিয়েও আগেই সমালোচনা হয়েছে বলিউড ও দক্ষিণী ছবির। সেই প্রেক্ষিতেই রাধিকার মন্তব্য আরও তীব্র।
রাধিকার উদ্বেগ
রাধিকা বলেন, “বিনোদনের নামে যেভাবে হিংসাকে বিক্রি করা হচ্ছে, তাতে আমি ভীষণ বিরক্ত। আমি এমন এক পৃথিবীতে সন্তানকে বড় করতে চাই না, যেখানে হিংসাত্মক ছবিকে বিনোদন বলে চালানো হয়। আমি ব্যক্তিগতভাবে এটা সহ্য করতে পারি না।”
এখানেই থামেননি তিনি। অভিনেত্রীর অভিযোগ, এখন গল্প বলার নামে দর্শককে শক দেওয়াই লক্ষ্য। তাঁর কথায়, “কেউ কাউকে নির্মমভাবে হত্যা করছে এই দৃশ্য দেখানোই যদি গল্প হয়, তাহলে সেটাকে স্টোরিটেলিং বলা যায় না। ভয়াবহতা না দেখিয়েও তো গল্প বলা যায়। এসব ছবি সমাজে মারাত্মক প্রভাব ফেলছে, আর দর্শক সেগুলো গিলছে দেখে আমার বিরক্তি আরও বাড়ে।”
ট্রলের মুখে রাধিকা
এর আগে ‘ধুরন্ধর’ নিয়ে মন্তব্য করে ট্রলের শিকার হয়েছিলেন হৃতিক রোশনও। এবার একই অভিজ্ঞতা রাধিকার। তাঁর মন্তব্য প্রকাশ্যে আসতেই সামাজিক মাধ্যমে শুরু হয়েছে আক্রমণাত্মক পোস্ট।
অনেকে রাধিকার অভিনীত ‘রক্তচরিত্র’ ও ‘সেক্রেড গেমস’-এর উদাহরণ টেনে কটাক্ষ করে লিখছেন, “ওগুলো বুঝি পুরো ফ্যামিলি ড্রামা ছিল?” এই ধরনের মন্তব্যেই ভরে উঠছে নেটদুনিয়া।
সব মিলিয়ে, ‘ধুরন্ধর’ ঘিরে বিতর্ক শুধু সিনেমার পর্দায় নয়, বাস্তব আলোচনাতেও ক্রমশ তীব্র হয়ে উঠছে।