অভিনেত্রী ও মডেল সাদিয়া জাহান প্রভা জানিয়েছেন, তাকে জড়িয়ে ছড়ানো জুয়ার ওয়েবসাইট প্রচারের অভিযোগ আসলে একটি ভুল বোঝাবুঝি। এই ভুল তথ্যের কারণে তিনি দীর্ঘদিন ধরে বিপাকে পড়েছেন। সোমবার (২ ডিসেম্বর) ফেসবুকে দেওয়া একটি ভিডিও বার্তায় তিনি পুরো অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন।

প্রভা বলেন, রোজার মাসে একটি কোম্পানি তার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। শুরু থেকেই তারা বিষয়টা পরিষ্কার করে বলেনি। জানানো হয়েছিল, এটা নাকি একটি গেমিং ওয়েবসাইট, যেখানে মাঝে মাঝে টি-২০ ম্যাচ দেখানো হয়, আর অনেক সেলিব্রিটি নাকি এর ক্যাম্পেইন করে থাকেন। তিনি বারবার জানতে চেয়েও পরিষ্কার উত্তর পাননি।

এরপর চুক্তিপত্র সই করতে কোম্পানির অফিসে গেলে তাকে একটি ছোট ভিডিও বাইট দিতে বলা হয়। তিনি ভেবেছিলেন এটা কেবল একটি সাধারণ গেমিং সাইট, তাই বাইট দেন এবং টোকেন মানি নেন। পরবর্তীতে পোস্ট দেওয়ার পরই বুঝতে পারেন, এটি আসলে একটি বেটিং ওয়েবসাইট। দর্শকদের মন্তব্যে তিনি বিষয়টি জানতে পারেন।

বুঝে ওঠার পরই তিনি কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং অভিযোগ তোলেন কেন তাকে সঠিক তথ্য জানানো হয়নি। কিন্তু কোম্পানির পক্ষ থেকে উল্টো তাকে বোঝানোর চেষ্টা করা হয় যে তিনি নাকি বেটিং ওয়েবসাইটের অর্থই জানেন না। প্রভা জানান, তিনি কখনোই জুয়ার সাইট সম্পর্কে জানতেন না এবং বারবার জিজ্ঞেস করেও পরিষ্কার ধারণা পাননি।

তিনি বলেন, চুক্তির পর শুটিংয়ের নমুনা ভিডিও দেখানোর সময় বাইরের দেশের কয়েকটি বেটিং সাইটের বিজ্ঞাপন দেখানো হয়েছিল। তখনই তার সন্দেহ হয়। দর্শকদের মন্তব্যই তাকে পুরো সত্যটা বুঝতে সাহায্য করে। বুঝতে পারার সঙ্গে সঙ্গে তিনি কাজটি বন্ধ করে দেন এবং আইনজীবীর সঙ্গে আলোচনা করেন।

প্রভা জানান, কাজটি তিনি শেষ পর্যন্ত করেননি, শুধু একটি বাইট দিয়েছিলেন। এমনকি যে ভিডিও ছড়িয়েছে সেখানে লিপসিংও তার কথার সঙ্গে মেলে না। অন্য কোম্পানির নাম বসানো হয়েছে। তার দাবি, তিনি কখনোই কোনো জুয়ার বা বেটিং ওয়েবসাইট প্রচার করেননি এবং ভবিষ্যতেও করবেন না।

তিনি আরও বলেন, কোম্পানি তাকে বড় অংকের পারিশ্রমিকের প্রলোভন দেখিয়েছিল, এমনকি অন্য সেলিব্রিটিদের উদাহরণও দিয়েছে। কিন্তু বিষয়টি যে সম্পূর্ণ অবৈধ, বুঝতেই তিনি কাজ থেকে সরে দাঁড়ান।

ভিডিওর শেষে প্রভা সাংবাদিকদের উদ্দেশে অনুরোধ করেন, তার দেওয়া তথ্য যেন সঠিকভাবে প্রচার করা হয়। তিনি জুয়ার প্রমোশন করেননি, করবেনও না এটাই তিনি সবার কাছে পরিষ্কারভাবে জানাতে চান।