মৈথিলী ঠাকুর এবার শুধু গানের মঞ্চেই নয়, রাজনীতিতেও বাজালেন নিজের ছন্দ। বিহার বিধানসভা নির্বাচনে আলিনগর থেকে বিজেপির প্রার্থী হিসেবে জয়ী হয়েছেন এই জনপ্রিয় তরুণ শাস্ত্রীয় সংগীতশিল্পী। মাত্র ২৫ বছর বয়সেই তিনি হয়ে গেলেন রাজ্যের সবচেয়ে কম বয়সী বিধায়ক বরং এখন ভারতেরও সবচেয়ে তরুণ বিধায়ক।

বিজয় ঘোষণার পর এএনআইকে মৈথিলী বললেন, এটা তাঁর কাছে যেন স্বপ্নের মতো। এলাকার ঘরের মেয়ে হিসেবে মানুষকে পাশে থাকা আর আলিনগরের উন্নয়নই এখন তাঁর একমাত্র লক্ষ্য।

নির্বাচন কমিশনের হিসেবে তিনি আলিনগর আসনে ১২,০৩৬ ভোটের ব্যবধানে জিতেছেন। ২০০০ সালের ২৫ জুলাই মধুবনীতে জন্ম নেওয়া মৈথিলী কার্যত ভারতের প্রথম জেন জি বিধায়ক।

গানই ছিল তাঁর জীবন। বাবা আর দাদার কাছে শাস্ত্রীয় ও লোকসংগীতের হাতে-খড়ি। হারমোনিয়াম আর তবলাতেও দখল পাকা। ইন্ডিয়ান আইডল জুনিয়র আর সারেগামাপা লিটল চ্যাম্পসে অংশ নিলেও খুব দূর যেতে পারেননি। কিন্তু থেমে যাননি। ২০১৭ সালে রাইজিং স্টারে রানারআপ হওয়াই তাঁকে জাতীয় পরিচিতি এনে দেয়। পরে সামাজিক মাধ্যমে শাস্ত্রীয় সংগীত পরিবেশন করে বিপুল জনপ্রিয়তা পান। বিহারের লোকঐতিহ্য তুলে ধরার জন্য ২০২১ সালে সংগীত নাটক আকাদেমির ওস্তাদ বিসমিল্লাহ খান যুব পুরস্কারও পেয়েছেন।

কোনো একসময় বলিউডের সংগীত জগত থেকে দূরে থাকার কথা বলেছিলেন তিনি, বিশেষ করে সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর। কিন্তু ২০২৪ সালে অজয় দেবগন–টাবু অভিনীত অরোঁ মে কাহান দম থা ছবির ‘কিসি রোজ’ গান দিয়ে ফের ফিরে আসেন প্লেব্যাকে। গানটির সুর করেছিলেন এম এম কীরাভানি। এর একটু আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছ থেকে ক্রিয়েটরস অ্যাওয়ার্ড পেয়েছিলেন তিনি; তাঁর শিব স্তোত্রম শুনে প্রধানমন্ত্রী নাকি বেশ মুগ্ধ হয়েছিলেন।

এই নির্বাচনে বড় ব্যবধানে এগিয়ে আছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট, ২৪৩ আসনের মধ্যে দু’শরও বেশি আসনে প্রাথমিক ফলাফলে তারা এগিয়ে। সরকার গঠনের ম্যাজিক নম্বর ১২২–এর অনেক ওপরে। গতবারের তুলনায় ৯০টিরও বেশি আসনে এগিয়ে আছে বিজেপি।

সংগীত থেকে রাজনীতি মৈথিলীর যাত্রাটা যেভাবে বদলাচ্ছে, তাতে বিহারের নতুন প্রজন্মের রাজনীতিতে তাঁর প্রভাব যে বাড়বে, সেটা এখনই বোঝা যাচ্ছে।