ভান্তারায় মেসির ‘ম্যাজিক’! বাঘের সাথে মোলাকাত আর হাতির সাথে ফুটবল খেললেন এলএম১০।
বিশ্ব ফুটবলের জাদুকর লিওনেল মেসি এবার ধরা দিলেন একদম ভিন্ন অবতারে। অনন্ত আম্বানির স্বপ্নের প্রজেক্ট ‘ভান্তারা’পরিদর্শনে এসে ভারতীয় ঐতিহ্য আর বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের এক অনন্য মিশেল উপভোগ করলেন এই আর্জেন্টাইন মহাতারকা। মেসির এই সফরে তার সাথে ছিলেন ইন্টার মায়ামির সতীর্থ লুইস সুয়ারেজ এবং রদ্রিগো ডি পল।
ভান্তারায় পা রাখতেই মেসিকে স্বাগত জানানো হয় খাঁটি ভারতীয় কায়দায়। লোকসংগীতের সুর আর পুষ্পবৃষ্টির মাঝে তাকে বরণ করে নেওয়া হয়। এরপর তিনি আম্বানি পরিবারের সাথে মহাউদ্ধতি ও আরতিতে অংশ নেন। অম্বে মাতা পূজা, গণেশ পূজা থেকে শুরু করে শিব অভিষেক-সবই করলেন বিশ্বশান্তি কামনায়।
মেসি ঘুরে দেখেন ভান্তারার বিশাল সংরক্ষণ কেন্দ্র। ‘বিগ ক্যাট কেয়ার সেন্টার’-এ সিংহ, চিতা আর বাঘেদের সাথে সময় কাটান তিনি। তবে সফরের সবচেয়ে স্মরণীয় মুহূর্তটি ছিল ‘এলিফ্যান্ট কেয়ার সেন্টার’-এ। সেখানে ‘মানিকলাল’ নামের এক উদ্ধার হওয়া হাতি শাবকের সাথে ফুটবল খেলায় মেতে ওঠেন মেসি। মানিকলাল আর মেসির সেই ড্রিবলিং দেখে উপস্থিত সকলেই মুগ্ধ হয়ে যান।
একটি সিংহ শাবকের নাম যখন ‘লিওনেল’ ফুটবল কিংবদন্তির সম্মানে অনন্ত আম্বানি ও রাধিকা আম্বানি একটি সিংহ শাবকের নাম রাখেন ‘লিওনেল’। এই বিশেষ সম্মান মেসির প্রতি ভারতবাসীর ভালোবাসারই এক প্রতিফলন। এরপর মেসি নিজ হাতে ওকাপি, গণ্ডার এবং জিরাফদের খাবারও খাওয়ান।
ভান্তারা সফর শেষে স্প্যানিশ ভাষায় মেসি বলেন, “ভান্তারা যা করছে তা সত্যিই অভাবনীয়। বন্যপ্রাণীদের যেভাবে উদ্ধার করে পরম মমতায় রাখা হয়, তা দেখে আমি অভিভূত। এখানে খুব ভালো সময় কাটালাম এবং এই অভিজ্ঞতা আমার মনে চিরস্থায়ী হয়ে থাকবে। আমি আবারও আসতে চাই।”
বিদায়বেলায় মেসি ভারতীয় ঐতিহ্যবাহী ‘নারকেল উৎসর্গ’ এবং ‘মটকা ফাটানো’-এর মতো শুভ আচারেও অংশ নেন। আম্বানিদের এই মহৎ কাজের পাশাপাশি ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের প্রচেষ্টারও প্রশংসা করেন তিনি।