জনপ্রিয় অভিনেত্রী কেয়া পায়েলকে জড়িয়ে সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে, যেখানে দাবি করা হয়েছে তার স্পা সেন্টারে নাকি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান চালিয়েছে। এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করে দেখা গেছে যে দাবিটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আসলে কেয়া পায়েলের কোনো স্পা সেন্টার নেই। বাস্তব তথ্য হলো, তিনি পরিচালনা করেন 'Pearl by Payel' নামের একটি বিউটি পার্লার, যা শুধুমাত্র নারী গ্রাহকদের সৌন্দর্যচর্চা সংক্রান্ত সেবা দিয়ে থাকে। স্পা সেন্টার বা অনুরূপ ব্যবসার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

অনুসন্ধানে জানা যায়, ভিডিওটিতে দেওয়া তথ্য সম্পূর্ণ মনগড়া ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। ধারণা করা হচ্ছে, সামাজিক মাধ্যমে দ্রুত ভিউ বাড়ানোর উদ্দেশ্যে একটি ফেসবুক পেজ এমন মিথ্যা কনটেন্ট তৈরি ও প্রচার করেছে। এই ধরনের ভুয়া ভিডিও ছড়ানোয় অভিনেত্রীর ভক্তদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। অনেকেই অভিযোগ করেছেন যে এমন মিথ্যা তথ্য প্রচার করে শিল্পীদের সম্মানহানি করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, বিনোদন জগতের তারকাদের জড়িয়ে এমন অপতথ্য ছড়ানোর ঘটনা নতুন নয়। চলতি বছরের প্রথম নয় মাসে রিউমর স্ক্যানার বিনোদন জগতের ২৯ জন নারী তারকাকে জড়িয়ে অন্তত ৬৮টি অপতথ্য শনাক্ত করেছে। এর মধ্যে ৫০টি কনটেন্টে এআই বা ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার লক্ষ্য করা গেছে। নুসরাত ইমরোজ তিশা, মেহের আফরোজ শাওন, বিদ্যা সিনহা সাহা মিম, পরীমনি, মেহজাবীন চৌধুরীসহ আরও অনেক তারকা এই ধরনের ভুয়া কনটেন্টের শিকার হয়েছেন। কেয়া পায়েলকে জড়িয়ে ছড়ানো ভিডিওটিও তেমনই একটি ফেক বা ভুয়া ভিডিও।