ওপার বাংলার জনপ্রিয় বর্ষীয়ান অভিনেতা কল্যাণ চট্টোপাধ্যায় প্রয়াত হয়েছেন। রোববার (০৮ ডিসেম্বর) রাতে কলকাতার বাঙুর হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। অভিনেতার প্রয়াণে টলিউড পাড়ায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন কল্যাণ চট্টোপাধ্যায়। সম্প্রতি বাঙুর হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলছিল, কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। রোববার রাত ৮টা বেজে ৪০ মিনিটে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। এই বর্ষীয়ান তারকার প্রয়াণে শোক প্রকাশ করেছে আর্টিস্টস ফোরাম এবং মৃতের পরিবারের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করা হয়েছে। এরপর রাত দেড়টা নাগাদ কেওড়াতলা মহাশ্মশানে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।

১৯৪২ সালে মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে জন্ম নেওয়া কল্যাণ চট্টোপাধ্যায়ের বরাবরই অভিনয়ের প্রতি প্রবল আকর্ষণ ছিল। ১৯৬৮ সালে ‘আপনজন’ সিনেমার মাধ্যমে টালিউডে তাঁর অভিনয় জীবন শুরু হয়। এরপর তিনি একের পর এক ছবিতে নিজের দক্ষতার প্রমাণ দিয়েছেন। কিংবদন্তি পরিচালক সত্যজিৎ রায়-এর ‘প্রতিদ্বন্দ্বী’ ছবিতেও তাঁকে অভিনয় করতে দেখা গেছে। দীর্ঘ অভিনয় জীবনে তিনি মহানায়ক উত্তম কুমার এবং সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়-এর মতো কিংবদন্তি অভিনেতাদের সঙ্গেও কাজ করেছেন। তাঁর কর্মজীবনে ‘সাগিনা মাহাতো’, ‘ধন্যি মেয়ে’, এবং ‘সফেদ হাতি’ উল্লেখযোগ্য ছবিগুলোর মধ্যে কয়েকটি।

শুধু টলিউডেই নয়, বলিউডের ছবিতেও দেখা গিয়েছে কল্যাণ চট্টোপাধ্যায়কে। তিনি সুজয় ঘোষ পরিচালিত ‘কাহানি’ ছবিতে অভিনেত্রী বিদ্যা বালান-এর সঙ্গে কাজ করেছেন। এছাড়াও, নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকি-র মতো অভিনেতার সঙ্গেও পর্দায় একসঙ্গে অভিনয় করতে দেখা গেছে তাঁকে। সবমিলিয়ে কয়েকশো ছবিতে অভিনয় করে তিনি বাংলা এবং হিন্দি উভয় চলচ্চিত্র জগতে এক পরিচিত মুখ হয়ে উঠেছিলেন।