‘অন্তরঙ্গ দৃশ্য’ শুধু এই দুই শব্দই যথেষ্ট আলোচনার জন্ম দেয়। সিনেমায় এই ধরনের দৃশ্য থাকলে কখনো সেন্সরের ঝামেলা হয়, আবার কখনো মুক্তির পর শুরু হয় তুমুল বিতর্ক। অনেকবার শুটিংয়ের সময় অভিনেত্রীদের অস্বস্তি, সহ-অভিনেতার অতিরিক্ত আচরণের অভিযোগ উঠে। মিটু আন্দোলনের পর পশ্চিমা সিনেমায় এই ধরনের দৃশ্য শুট করতে ইনটিমেসি কো-অর্ডিনেটরের সাহায্য নেওয়া শুরু হয়েছে।

তবে অস্কারজয়ী জেনিফার লরেন্স নতুন সিনেমা ‘ডাই মাই লাভ’-এর শুটিংয়ে এমন কোনো সাহায্য নেননি। লরেন্স জানিয়েছেন, সহ-অভিনেতা রবার্ট প্যাটিনসনের সঙ্গে তিনি সম্পূর্ণ নিরাপদ বোধ করেছেন। লিন রামজি পরিচালিত এই ছবিতে লরেন্স অভিনয় করেছেন এক নারীর চরিত্রে, যিনি সন্তানের জন্মের পর মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন।

লরেন্স বলেন, “আমাদের কোনো ইনটিমেসি কো-অর্ডিনেটর ছিল না, অথবা থাকলেও আমরা ব্যবহার করিনি। রবার্টের সঙ্গে আমি একদম নিরাপদ বোধ করেছি। সে মোটেই বিকৃতমনা নয়, বরং সুকি ওয়াটারহাউসের প্রেমে একেবারে মনোনিবেশী। আমরা বেশির ভাগ সময় সন্তান ও সম্পর্ক নিয়ে কথা বলেছি। কোনো অস্বস্তি ছিল না।” তিনি আরও যোগ করেন, “অনেক পুরুষ অভিনেতা রেগে যান যদি বুঝতে পারেন যে আপনি তাদের প্রতি আকৃষ্ট নন তবে তারা ‘শাস্তি’ দিতে পারে। রবার্ট একদম এমন নয়।”

লরেন্স গর্ভাবস্থায় শুটিং করেছেন এবং নগ্ন দৃশ্যে অভিনয় করেছেন। এ অভিজ্ঞতা তার জন্য আগের থেকে একেবারেই আলাদা। তিনি বলেন, “আমি নগ্নতা নিয়ে কখনো অস্বস্তি বোধ করি না। আমি চাই লিন সম্পূর্ণ শিল্পী-স্বাধীনতা পান। গর্ভবতী অবস্থায় কাজ করার কারণে আমার দুশ্চিন্তা কমে গিয়েছিল। ‘নো হার্ড ফিলিংস’-এর সময় আমি ডায়েট করতাম, কার্ব খেতাম না, জিম যেতাম। কিন্তু ‘ডাই মাই লাভ’-এর সময় আমি অন্তঃসত্ত্বা ছিলাম এবং ১৫ ঘণ্টা শুটিং করতাম।”

‘ডাই মাই লাভ’ মুক্তি পাচ্ছে আগামীকাল, ৭ নভেম্বর।