জেনিফার অ্যানিস্টন ইনস্টাগ্রামে জিম কার্টিসের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক আনুষ্ঠানিক করলেন, জন্মদিনের পোস্টে ডেকে নিলেন “আমার ভালোবাসা”

এ বছর জুলাই মাসে প্রথমবার জেনিফার অ্যানিস্টন ও জিম কার্টিসের ঘনিষ্ঠতা নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়, যখন দুজনকে একসঙ্গে ইয়টে সময় কাটাতে দেখা যায়।

অবশেষে গুজবের অবসান ঘটালেন জেনিফার। “ফ্রেন্ডস” অভিনেত্রী ইনস্টাগ্রামে এক বিশেষ জন্মদিনের পোস্ট দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করলেন জিমের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের কথা। পোস্টে জিমকে উদ্দেশ্য করে ভালোবাসায় লিখলেন, “শুভ জন্মদিন আমার প্রিয়।”

৫৬ বছর বয়সী এই অভিনেত্রী একটি সাদা-কালো ছবি শেয়ার করেছেন, যেখানে দেখা যাচ্ছে জিমের পেছন থেকে তাঁকে আলতো করে জড়িয়ে ধরেছেন জেনিফার। এই ছবির মাধ্যমেই প্রথমবার জনসমক্ষে এল তাঁদের সম্পর্কের স্বীকৃতি। ক্যাপশনে তিনি আরও লেখেন, “চেরিশড (হার্ট ইমোজি)।”

পোস্টটি প্রকাশের পর মুহূর্তেই সামাজিক মাধ্যমে আলোচনার ঝড় বয়ে যায়। ভক্তরা মন্তব্যে ভালোবাসা ও শুভেচ্ছায় ভরিয়ে দেন মন্তব্যের ঘর। কেউ লিখেছেন, “তোমাকে এত সুখী দেখে আমারও মন ভরে গেল, জেন জেন!” আরেকজন মন্তব্য করেছেন, “এই পোস্টটা আমার পুরো সপ্তাহটাই সুন্দর করে দিল।”

আরেকজন লিখেছেন, “আআআআআহ! তোমরা দুজন ভীষণ কিউট!” কেউ আবার উচ্ছ্বসিতভাবে লিখেছেন, “ওএমজি! অবশেষে!!! আমরা অনেক দিন ধরে এই মুহূর্তটার জন্য অপেক্ষা করছিলাম!”

আরও এক মন্তব্যে লেখা, “তোমাদের দুজনকে একসঙ্গে দেখে সত্যিই মনটা ভরে গেল, আমার হৃদয় আনন্দে ভরে গেছে।”

জেনিফার ও জিমের সম্পর্কের শুরু
জুলাইয়ে প্রথমবার তাঁদের একসঙ্গে দেখা গেলেও, সেপ্টেম্বর মাসে জেনিফারের সিরিজ দ্য মর্নিং শো এর সিজন ৪ প্রিমিয়ারে জিমকে সাপোর্ট করতে দেখা যায়। আগস্টে তাঁরা জেসন বেটম্যান ও তাঁর স্ত্রী অ্যামান্ডা আঙ্কার সঙ্গে ডাবল ডেটে গিয়েছিলেন।

এক সূত্র পিপল ম্যাগাজিনকে জানিয়েছিল, “তারা এখনো কেবল casually ডেট করছে এবং একসঙ্গে সময় উপভোগ করছে। তাদের এক বন্ধুর মাধ্যমে পরিচয় হয়েছিল। জেনিফার জিমের বই পড়েছিলেন এবং তাঁর কাজের সঙ্গে পরিচিত ছিলেন।”

তবে এতদিন জেনিফার এই সম্পর্ক নিয়ে খুবই ব্যক্তিগত ছিলেন। সেপ্টেম্বরে এন্টারটেইনমেন্ট টুনাইট-এর এক সাক্ষাৎকারে যখন সাংবাদিক তাঁকে বলেন, “জিম তো বেশ স্পেশাল একজন মানুষ মনে হচ্ছে,” তখন তিনি হেসে বলেন, “খুব সুন্দর বলেছেন।”

এর আগে জেনিফার বিয়ে করেছিলেন ব্র্যাড পিটকে, পরে জাস্টিন থেরুকে। এরপর থেকে তিনি নিজের ব্যক্তিগত জীবনকে মিডিয়ার আলোচনার বাইরে রাখতেই পছন্দ করেছেন।