এ অনুষ্ঠানটি পণ্ড হয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে নগরবাউল ও জেমসের মুখপাত্র রুবাইয়াত ঠাকুর রবিন সংবাদমাধ্যমকে জানান, সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে তারা ফরিদপুরে পৌঁছান। গেস্ট হাউসে অবস্থানকালে বিশৃঙ্খলার খবর আসে। রাত সাড়ে ১০টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে আয়োজকরা অনুষ্ঠান বাতিলের সিদ্ধান্ত নেন। এরপরই শিল্পী ও তাঁর টিম ঢাকায় ফিরে আসেন।

ঘটনা নিয়ে জেমস নিজেও কথা বলেন। তাঁর ভাষ্য, পুরো পরিস্থিতির জন্য আয়োজকদের চরম অব্যবস্থাপনা ও দায়িত্বহীনতাই দায়ী।

এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগের মধ্যেই অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করেন জেমস। দ্রুত গাড়িতে ওঠার সময় তাঁর সঙ্গে থাকা ব্যক্তিরা শিল্পীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তৎপর ছিলেন।

আয়োজক কমিটির সূত্র জানায়, অনুষ্ঠানটি কেবল নিবন্ধিত দর্শকদের জন্য হলেও জেমসের উপস্থিতির খবরে কয়েক হাজার অনিবন্ধিত মানুষ সেখানে ভিড় করেন। প্রবেশে বাধা দিলে তারা গেট ও আশপাশের সড়কে অবস্থান নেন এবং দেয়াল টপকে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে স্কুল প্রাঙ্গণ ও মঞ্চ লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু হয়। এতে আয়োজক কমিটির আহ্বায়কসহ প্রায় ২৫-৩০ জন আহত হন। তাদের মধ্যে ১০-১২ জনকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়।