'আইটি: ওয়েলকাম টু ডেরি' সিরিজের ফাইনাল এপিসোড 'উইন্টার ফায়ার' একটি বড় রহস্যের সমাধান করেছে: কেন পেনিওয়াইজ শত শত বছর ধরে যে শহরে রাজত্ব করেছে, সেই ডেরি ছেড়ে চলে যেতে চেয়েছিল? শেষ পর্বে স্পষ্ট হয়ে গেছে যে, এটি কেবল পালানো ছিল না, এটি ছিল তার টিকে থাকার লড়াই।

পেনিওয়াইজ আসলে ডেরি শহরকে বড় করতে চাইছিল। সে বুঝতে পেরেছিল যে ডেরি এখন আর তার শিকারের ক্ষেত্র নয়, বরং তার কারাগারে পরিণত হয়েছে। পেনিওয়াইজ সময়কে একসাথে (অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ) দেখতে পায়। সে আগেই জেনে গিয়েছিল যে ভবিষ্যতে 'লুজার্স ক্লাব' তাকে ধ্বংস করবে। সেই ভয় থেকেই সে অতীতে গিয়ে রক্তবংশ অনুসরণ করে তার ভবিষ্যৎ শত্রুদের জন্ম নেওয়ার আগেই মুছে দিতে চেয়েছিল। যেমন রিচি টোজিয়ারের মা মার্জ ট্রুম্যানকে লক্ষ্যবস্তু করা ছিল সেই পরিকল্পনারই অংশ।

পুরো সিজন জুড়ে যে রহস্যময় খঞ্জর বা ড্যাগারটি দেখা গেছে, তার আসল কাজ পেনিওয়াইজকে মারা নয়, বরং তাকে আটকে রাখা। ডেডউড গাছের নিচে সেই ড্যাগারটি পুঁতে ফেলার মাধ্যমে পেনিওয়াইজকে ডেরি শহরের সীমানার ভেতরেই বন্দি করে ফেলা হয়। এটি কোনো জয় ছিল না, এটি ছিল কেবল অশুভ শক্তিকে থামিয়ে রাখার একটি দেয়াল।

এই সিরিজের সবচেয়ে বড় চমক ছিল ডিক হ্যালোরাান। তার 'শাইন' করার ক্ষমতা বা অলৌকিক শক্তি দিয়েই সে পেনিওয়াইজকে মানসিক গোলকধাঁধায় আটকে দেয়। ডেরিতে নিজের কাজ শেষ করে চলে যাওয়ার সময় ডিকের সেই বিখ্যাত সংলাপ- "একটি হোটেল আর কতটুকুই বা ঝামেলার হতে পারে?" সরাসরি স্টিফেন কিং-এর 'দ্য শাইনিং' এবং ওভারলুক হোটেলের সাথে সংযোগ তৈরি করে।

সিরিজটি শেষ হয়েছে একটি শক্তিশালী বার্তা দিয়ে: ডেরিতে অশুভ শক্তি কখনো শেষ হয় না, এটি কেবল অপেক্ষা করে। পেনিওয়াইজ এমন এক সত্তা যাকে পুরোপুরি মারা সম্ভব নয়, কেবল লড়াই করে টিকে থাকা সম্ভব। ভয় এবং বিভেদের এই লড়াই এখনো শেষ হয়নি।