ইমন চক্রবর্তী সবসময়ই বলেছেন, রাজনীতির ভিড়ভাট্টা তার পছন্দ নয়। রাজনৈতিক মঞ্চ, শো, প্রচার এসব থেকে তিনি দূরেই থেকেছেন। নির্বাচন ঘিরে কোনো জল্পনাতেও তিনি কখনো সাড়া দেননি। তাই হঠাৎ তার কণ্ঠে একটি রাজনৈতিক দলের উন্নয়নমূলক গান শোনা মাত্রই অনলাইনে তর্ক-বিতর্ক শুরু হয়ে যায়। কেউ কেউ তো সরাসরিই তাকে ‘বিক্রি হয়ে যাওয়া’ শিল্পী বলেও দাবি করেছেন।

এই সমালোচনার মাঝেই তিনি ভারতীয় এক গণমাধ্যমকে বলেন, তিনি কোনো ভুল করেননি। তাকে গানের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল, কথাসুর আগেই পাঠানো হয়েছিল, আর তিনি গিয়ে তার অংশটুকু করে এসেছেন। বিষয়টি নিয়ে এমন ঝড় উঠবে, সেটা তার ধারণায় ছিল না।

ইমন জানান, গান শেষে মুখ্যমন্ত্রী নিজে উঠে দাঁড়িয়ে তাকে সম্মান জানিয়েছেন। তিনি সেই সম্মান পেয়েছেন একজন শিল্পী হিসেবে, রাজনীতির কারণে নয়। সেদিন রাজনীতি নিয়ে একটাও কথা হয়নি; বরং মুখ্যমন্ত্রী তার বাবা-মায়ের গল্প, ছোটবেলার সঙ্গীত-পরিবেশ এসবই বলেছেন।

তার কথায়, কেউ যদি তবুও মনে করেন তিনি ‘বিক্রি হয়ে গেছেন’, তিনি আর তাতে কিছু বলতে চান না। মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া সম্মান আর ভালোবাসার জন্য তিনি কৃতজ্ঞ, এটাই তার শেষ কথা।