গত বছরের সেপ্টেম্বরে প্রথম সন্তানের মা হয়েছেন বলিউড অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোন। মাতৃত্বের পর থেকেই বদলে গেছে তাঁর জীবনের অগ্রাধিকার। কন্যা দুয়াই এখন তাঁর জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। সম্প্রতি দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দীপিকা জানিয়েছেন, মা হওয়ার পর নিজের ক্যারিয়ারকে নতুনভাবে ভাবতে শুরু করেছেন তিনি। এখন তাঁর লক্ষ্য কাজ ও পরিবারের মধ্যে সঠিক ভারসাম্য রক্ষা করা।
চলতি বছরের মাঝামাঝি খবর আসে, সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গা পরিচালিত ‘স্পিরিট’ ছবির শুটিং থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন দীপিকা। জানা যায়, তিনি প্রতিদিন সর্বোচ্চ আট ঘণ্টা কাজের শর্ত দিয়েছিলেন। কিন্তু প্রযোজকপক্ষ সেই অনুরোধ মানতে রাজি না হওয়ায় প্রকল্পটি থেকে তাঁকে বাদ দেওয়া হয়। এরপর ‘কাল্কি ২৮৯৮ এডি’- এর সিকুয়েল থেকেও একইভাবে তাঁর নাম বাদ পড়ে। এ নিয়ে নানা বিতর্ক হলেও এতদিন চুপ ছিলেন দীপিকা। অবশেষে মুখ খুললেন তিনি।
সম্প্রতি সিএনবিসি-টিভি১৮-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দীপিকা বলেন, “আমরা ভারতীয় চলচ্চিত্রকে শিল্প বলি ঠিকই, কিন্তু বাস্তবে আমরা কখনোই শিল্পের মতো পেশাদারভাবে কাজ করিনি।” তিনি আরও বলেন, “ভারতের বহু পুরুষ তারকা বহু বছর ধরেই দিনে আট ঘণ্টা করে কাজ করছেন। আমি যদি নারী হয়ে একই দাবি তুলি, সেটি জেদ হিসেবে দেখা হয়। অথচ পুরুষরা এই নিয়মে কাজ করলেও সেটা কখনো খবর হয় না।”
দীপিকার মতে, ভারতীয় চলচ্চিত্রশিল্প এখনো অনেক বিশৃঙ্খলভাবে পরিচালিত হচ্ছে। তাঁর ভাষায়, “এই শিল্পকে সত্যিকার অর্থে শিল্পের জায়গায় আনতে হলে এখনই দরকার নিয়ম, পরিকল্পনা আর শৃঙ্খলা।”
‘স্পিরিট’ থেকে সরে দাঁড়ানোর কারণও ছিল ব্যক্তিগত। মাতৃত্বের পর মেয়ের সঙ্গে বেশি সময় কাটাতে চেয়েছিলেন দীপিকা। তাই তিনি প্রতিদিন আট ঘণ্টার বেশি কাজ না করার শর্ত দিয়েছিলেন। কিন্তু প্রযোজনা সংস্থা সেই সময়সূচি মেনে না নেওয়ায় তিনি প্রকল্প থেকে নিজে সরে দাঁড়ান। একইভাবে ‘কাল্কি ২৮৯৮ এডি’-র সিকুয়েল থেকেও বাদ পড়েন। প্রযোজনা সংস্থা বৈজয়ন্তী মুভিজ এক বিবৃতিতে জানায়, “এই ছবির জন্য আরও বেশি সময় ও নিবেদন প্রয়োজন ছিল, যা দীপিকার পক্ষে সম্ভব হয়নি।”
মাতৃত্বের পর অভিনয়জীবনের নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করলেও দীপিকা পাড়ুকোন স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, এখন তাঁর জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা হলো ‘মা’।