ভারতীয় সিনেমার ইতিহাস সৃষ্টিকারী ফ্র্যাঞ্চাইজি ‘বাহুবলী’ দশ বছর পর আবারও বড় পর্দায় ফিরছে। তবে ভক্তরা যাকে ‘বাহুবলী থ্রি’ হিসেবে কল্পনা করছেন, এটি ঠিক নতুন কোনো গল্প নয়। পরিচালক এস. এস. রাজামৌলি এবার আগের দুই ছবির একটি একত্রিত ও উন্নত সংস্করণ উপহার দিতে চলেছেন।

এক ফ্রেমে দুটি ছবি

প্রযোজক শোবু ইয়ারালাগাড্ডা জানিয়েছেন, সিরিজটির ১০ বছরপূর্তি উপলক্ষে এই বিশেষ সংস্করণ তৈরি করা হচ্ছে। এতে ‘বাহুবলী: দ্য বিগিনিং’ (২০১৫) এবং ‘বাহুবলী ২: দ্য কনক্লুশন’ (২০১৭) এই দুটি ছবিকে একসঙ্গে একটি ধারাবাহিক সিনেমা হিসেবে দেখানো হবে। প্রায় ৩ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট দৈর্ঘ্যের এই সংস্করণে প্রথমার্ধে প্রথম ছবির গল্প এবং বিরতির পর দ্বিতীয় কিস্তির কাহিনি চলবে।

প্রযোজকের ভাষ্যমতে, দুই ছবিকে একসঙ্গে দেখা গেলেও গল্পের প্রবাহ বা আবেগের ওঠানামা আগের মতোই থাকবে।

অদেখা দৃশ্য যোগ হওয়ার চমক

নতুন সংস্করণে সবচেয়ে বড় চমক হলো কিছু নতুন দৃশ্য যোগ করা হচ্ছে, যা মূলত আগের সংস্করণে বাদ পড়েছিল। রাজামৌলি শুটিংয়ের সময় প্রায় ১১ ঘণ্টার ফুটেজ ধারণ করেছিলেন, যার অনেকটা এডিটিং টেবিলে বাদ দেওয়া হয়েছিল। এবার সেই অদেখা মুহূর্তগুলোর কিছু অংশ নতুন সংস্করণে যুক্ত হবে।

যদিও ‘বাহুবলী থ্রি’ নামে কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এখনো আসেনি, তবে প্রযোজক শোবু ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, "এটা তৃতীয় পর্ব নয়, বরং বাহুবলীর জগতকে নতুন করে উপস্থাপন করার শুরু। ভবিষ্যতে এই গল্প আরও এগোতে পারে।"

মুক্তির প্রস্তুতি ও প্রত্যাশা

এই পুনঃমুক্তির আগে নেটফ্লিক্স থেকে আগের দুই পর্ব সরিয়ে নেওয়া হয়েছে, যাতে দর্শকরা সিনেমা হলে গিয়ে মহাকাব্যিক গল্পের এই নতুন অভিজ্ঞতা নিতে পারে।

নতুন সংস্করণটি ৩১ অক্টোবর ভারতের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে। প্রভাস, রানা দাগগুবাতি, আনুশকা শেঠি, তামান্না ভাটিয়া, রম্যা কৃষ্ণন এবং সত্যরাজ অভিনীত এই মহাকাব্যিক গল্পটি আবারও দর্শকদের সেই জাদুকরী জগতে ফিরিয়ে নিয়ে যাবে, যেখানে প্রশ্ন একটাই ‘কাটাপ্পা বাহুবলীকে কেন মারল?’

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে প্রথম পর্ব ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জিতেছিল এবং ২০১৭ সালে সিক্যুয়েলটি বিশ্বজুড়ে ১,৮০০ কোটি রুপি আয় করে রেকর্ড গড়েছিল।