জেমস ক্যামেরনের হাত ধরে শুরু হওয়া ‘অ্যাভাটার’ ফ্র্যাঞ্চাইজির তৃতীয় কিস্তি ‘অ্যাভাটার: ফায়ার অ্যান্ড অ্যাশ’ বিশ্বজুড়ে মুক্তি পেয়েছে। ২০০৯ সালে বিশ্ব চলচ্চিত্রের ভাষা বদলে দেওয়া এই যাত্রার সিকুয়েল ২০২২ সালে আসার পর এবার তিন বছরের মাথায় প্যান্ডোরার জগতে নতুন এক গল্প নিয়ে হাজির হয়েছেন নির্মাতা। বাংলাদেশের স্টার সিনেপ্লেক্স ও ব্লকবাস্টার সিনেমাসেও দর্শকরা এখন এই ছবিটি উপভোগ করতে পারছেন। এবারের কিস্তিতে নতুন প্রতিপক্ষ হিসেবে দেখা যাবে ‘অ্যাশ ক্ল্যান’ নামক এক গোষ্ঠীকে, যাদের নেতৃত্বে থাকা ভারাং চরিত্রটি জেক সালি ও নেইতিরির সাজানো জীবনে নতুন করে বড় হুমকি হয়ে দাঁড়াবে।
নির্মাতা জেমস ক্যামেরন জানিয়েছেন যে দ্বিতীয় ছবির দর্শক প্রতিক্রিয়ার ওপর ভিত্তি করে তৃতীয় কিস্তিতে তিনি কিছু পরিবর্তন এনেছেন। বিশেষ করে লো আক চরিত্রটি দর্শকদের কাছে দারুণভাবে গ্রহণযোগ্য হওয়ায় পরবর্তী ছবিগুলোতে এই চরিত্রটিকে আরও গুরুত্ব দেওয়া হবে। এবারের গল্পের অন্যতম বড় চমক হলো নাভিদের নেতিবাচক দিক তুলে ধরা। এখন পর্যন্ত নাভিদের ইতিবাচক এবং মানুষের নেতিবাচক দিক দেখানো হলেও এই ছবিতে আগুনের প্রতীক হিসেবে ‘অ্যাশ পিপল’দের মাধ্যমে নাভিদের ভিন্ন এক রূপ ফুটে উঠবে। ক্যামেরনের মতে, দর্শকদের প্রত্যাশার বাইরে গিয়ে সাহসী সিদ্ধান্ত নেওয়া এবং ছক ভাঙাই তাঁর নির্মাণের মূল লক্ষ্য।
প্রায় ৪০০ মিলিয়ন ডলার বাজেটের এই বিশাল আয়োজনের সিনেমাটির বড় অংশের শুটিং সম্পন্ন হয়েছে নিউজিল্যান্ডে। নির্মাতা জানিয়েছেন যে এই ফ্র্যাঞ্চাইজির পরবর্তী কিস্তিগুলোর নির্মাণ নির্ভর করবে বর্তমান ছবিটির সাফল্যের ওপর। এছাড়া তিনি নতুন একটি ‘টার্মিনেটর’ সিনেমার কাজ শুরু করার ইঙ্গিতও দিয়েছেন, তবে সেখানে আগের মতো আর্নল্ড শোয়ার্জেনেগার থাকছেন না। সব মিলিয়ে প্যান্ডোরার নতুন এই জগত এবং নাভিদের অজানা দিকগুলো দেখার জন্য বিশ্বজুড়ে দর্শকদের মাঝে তুমুল উন্মাদনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।