নতুন কিস্তি ‘ফায়ার অ্যান্ড অ্যাশ’-এ দর্শকরা পরিচয় পাবে ‘অ্যাশ পিপল’ বা ছাইয়ের মানুষের সঙ্গে। এরা আগ্নেয়গিরি অঞ্চলের বাসিন্দা এবং আগের না’ভি জাতির তুলনায় অনেক বেশি আক্রমণাত্মক ও ক্রোধপরায়ণ। আগের দুটি পর্বে প্রকৃতি রক্ষার বার্তা প্রধান ছিল, এবার আগুনই মূল থিম। শুধু ধ্বংসই নয়, আগুন এই সিনেমায় ক্রোধ ও প্রতিহিংসার প্রতীক হিসেবে দেখা যাবে। জেমস ক্যামেরন ইঙ্গিত দিয়েছেন যে সব না’ভিই ভালো নয়; এবারে দর্শকরা না’ভিদের মধ্যকার অন্ধকার দিকও দেখতে পাবেন।

আগের কিস্তিতে লড়াই ছিল মানুষ বনাম না’ভি। ‘ফায়ার অ্যান্ড অ্যাশ’-এ জেক সালি ও নেইতিরির পরিবারকে তাদের নিজের জাতির মধ্যে থেকে আসা নতুন শত্রুর সঙ্গে লড়াই করতে হবে। অর্থাৎ এবারের সংঘাত হবে না’ভি বনাম না’ভি।

প্যান্ডোরার নতুন ভৌগোলিক অঞ্চল দর্শকদের সামনে আসবে। আগ্নেয়গিরির চারপাশে বিস্তৃত লাভা-প্রাচুর্য পরিবেশ, এবং এই প্রতিকূল পরিবেশে টিকে থাকা না’ভিদের জীবনযাত্রা ও সংস্কৃতি সিনেমার বড় আকর্ষণ।

এর আগে জেমস ক্যামেরনের দুটি সিনেমা, ২০০৯ সালের ‘অ্যাভাটার’ এবং ২০২২ সালের ‘অ্যাভাটার: দ্য ওয়ে অব ওয়াটার’, বিশ্বজুড়ে ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি আয় করেছে। যদি ‘ফায়ার অ্যান্ড অ্যাশ’ও এই সাফল্য পুনরায় অর্জন করে, তবে এটি হবে ইতিহাসের প্রথম ফ্র্যাঞ্চাইজি যার তিনটি কিস্তিই ২ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক স্পর্শ করবে। বর্তমানে ক্যামেরনই একমাত্র পরিচালক যার তিনটি সিনেমা (টাইটানিকসহ) ২ বিলিয়ন ডলারের ক্লাবে রয়েছে।

গল্প এগোবে না’ভি ও আরডিএ-র মধ্যকার যুদ্ধের রেশ ধরে। জেক সালি (স্যাম ওয়ার্থিংটন) ও নেইতিরি (জো সালদানা) এবার লড়াই করবেন আগুনের শক্তির অধিকারী নতুন গোত্রের সঙ্গে। ৩ ঘণ্টা ১৭ মিনিটের এই সিনেমা দর্শকদের কতটুকু ধরে রাখতে পারবে, তা দেখার বিষয়। সমালোচকরা মনে করছেন, এটি আগের কিস্তির তুলনায় আরও টানটান এবং রোমাঞ্চকর।