ঢাকার পুজোর ধামাকা প্রায় শুরু, আর শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে সবাই ব্যস্ত। এই সময়ে নিজের লুক আরও সুন্দর দেখাতে জিমে ভিড় জমান অনেকেই। এমন সময় যদি কোনও তারকার ফিটনেস ও ডায়েট টিপস জানা যায়, তা নিঃসন্দেহে কাজে লাগে। আমাদের প্রতিবেদনে প্রকাশ করা হলো জনপ্রিয় অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা সেনের ফিটনেস ও ডায়েট সিক্রেট

পুজোর প্ল্যানিং সম্পর্কে জানতে চাইলে নায়িকা বলেন, “এ বছর পুজোটা আমার জন্য আলাদা। সাধারণত ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান থাকলেও, এবার আমাদের পরবর্তী ছবির প্রমোশন শুরু হবে, তাই কলকাতাতেই থাকব। শহরের এই আলাদা আমেজ উপভোগ করব।”

চেহারার ট্রান্সফরমেশন নিয়ে তিনি জানান, “শুধু পুজোর সময় মেন্টেন করলে কাজ হবে না। এটা সারা বছরের প্রসেস। ‘মির্জা’ ছবির সময় আমি স্ট্রিক্ট ডায়েট ফলো করেছি পেপে সিদ্ধ, শসা, কিছু ভিটামিন। তবে সেটা ১৫-২০ দিনের বেশি নয়। সারাবছর আমি বাইরে খাবার ও অতিরিক্ত মিষ্টি এড়াই। তবে ক্রেভিং হলে একেবারে না খাই না, পরের দিন অতিরিক্ত ওয়ার্কআউট করি। ডায়েটের পাশাপাশি ওয়ার্কআউট আমার জীবনের অংশ।”

প্রোটিন শেক সম্পর্কে তিনি বলেন, “আমি কখনও প্রোটিন শেকের উপর নির্ভর করি না, প্রয়োজনে বাড়িতে বানাই। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ডায়েটের সঙ্গে যদি নেশার অভ্যাস থাকে, ফল পাবেন না। ব্যালান্সড ডায়েটেই আমি নয় মাসে ২০ কেজি ওজন কমিয়েছি। প্রচুর ফল, জল, ডাল, সবজি অবশ্যই দরকার। শুরুতে সবাই হয়তো এত স্ট্রিক্ট ডায়েট ফলো করতে পারবেন না, তবে দিনে একবার অল্প পরিমাণে ভাত, ডাল, মাছ, সবজি খেতে পারেন। রাতে কার্বোহাইড্রেট এড়ানো ভালো। ওয়ার্কআউট করলে ফল দ্বিগুণ দ্রুত পাবেন।”

ঐন্দ্রিলা আরও জানালেন, “ওজন কমানোর পর অনুরাগীরা কখনও কটুক্তি করেননি। বরং অনেকে বলেছেন আগের চেহারাটাও ভালো ছিল। নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বুঝেছি, ডায়েট মানেই সব বর্জন নয়। আমায় কেউ ইনভাইট করলে মেপে খাই, পরে ব্যালান্স করি। ধারাবাহিক অভ্যাসে এখন এটি আমার জীবনধারার অংশ।”