চার মাসে পাঁচটি সিনেমায় ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে দর্শকদের সামনে হাজির হয়েছেন জয়া আহসান। করোনা সময়ে বন্দী হয়ে থাকা দুই নারীর গল্পে নির্মিত পিপলু ও খানের ‘জয়া আর শারমিন’-এ জয়ার অভিনয় প্রশংসিত হয়েছে মুক্তির পরই। সেখানে তিনি একাকী নারী চরিত্রের নানা মানসিক স্তর ফুটিয়ে তুলেছেন।

এরপর ঈদে মুক্তি পেয়েছে রায়হান রাফীর ‘তাণ্ডব’ ও তানিম নূরের ‘উৎসব’। শাকিব খানের সঙ্গে দশ বছর পর বড় পর্দায় দেখা যায় জয়াকে, এবং ‘তাণ্ডব’-এর সাংবাদিক চরিত্রে তিনি দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। ‘উৎসব’-এ ভূতের চরিত্রে স্বল্প উপস্থিতিতেও নিজস্বতা ফুটিয়ে তোলার জন্য দর্শকরা প্রশংসা করেছেন।

জুলাইয়ে মুক্তি পাওয়া অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরীর ‘ডিয়ার মা’ সিনেমায় মা চরিত্রে দেখা গেছে জয়াকে। কলকাতার সমালোচকেরা এটিকে চলতি বছরের সেরা বাংলা সিনেমার মধ্যে একটি বলেছেন। আনন্দবাজার পত্রিকা লিখেছে, জয়া এক চরিত্র থেকে অন্য চরিত্রে নিজেকে ছাপিয়ে গেছেন চলচ্চিত্রে একজন কেরিয়ারিস্ট নারী, স্ত্রী বা একলা মা সবটিতেই তিনি প্রমাণ করেছেন তার অভিনয়ের বহুমাত্রিকতা।

১ আগস্ট মুক্তি পেয়েছে ‘পুতুলনাচের ইতিকথা’। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপন্যাস অবলম্বনে সুমন মুখোপাধ্যায়ের ছবিতে জয়া কুসুম চরিত্রে দেখা গেছে। জয়া বলেছিলেন, কুসুম একটি ‘খোলা বই’-এর মতো, সতেজ এবং বিশ্বাসযোগ্য চরিত্র। মুক্তির পর দর্শক এবং সমালোচক উভয়ই অভিনয়কে প্রশংসা করেছেন।

জয়া নিজে বলেন, পাঁচটি চরিত্রই চ্যালেঞ্জিং এবং প্রতিটি চরিত্রের আলাদা জীবনযাপন ও দর্শন তাকে আনন্দ দিয়েছে। তিনি বিশেষভাবে কুসুম চরিত্রটি উল্লেখ করেন, কারণ এটি ইতিপূর্বে পাঠক ও দর্শকের মনের মধ্যে নির্দিষ্ট ধারণা সৃষ্টি করেছে।

মে থেকে আগস্ট পর্যন্ত টানা পাঁচটি চলচ্চিত্রে অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি প্রচারণা ও ঢাকার কলকাতার যাত্রায় ব্যস্ত ছিলেন। জয়া বলেন, সিনেমায় অভিনয় আনন্দদায়ক হলেও প্রচারণা অনেকটা নিরানন্দময়। তবে নতুন সিনেমা নিয়ে কথাবার্তা রয়েছে, যা চূড়ান্ত হয়নি।

জয়ার এই ধারাবাহিক অভিনয় যাত্রা এবং চরিত্র বৈচিত্র্য দর্শক ও সমালোচকের মধ্যে প্রশংসা কুড়িয়েছে এবং তাকে আরও চমকের অপেক্ষায় রাখছে।