আজ, ২০ অক্টোবর, ১৯৯৫ সালে মুক্তি পেয়েছিল বলিউডের ইতিহাসের অন্যতম সেরা রোমান্টিক সিনেমা 'দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে' (DDLJ), যা আজ ৩০ বছর পূর্ণ করল। কয়েক দশক পেরিয়ে গেলেও রাজ (শাহরুখ খান) ও সিমরানের (কাজল) রসায়ন আজও দর্শকদের বুঁদ করে রেখেছে। মাত্র ৪ কোটি রুপি বাজেটে নির্মিত এই সিনেমাটি ১০৮ কোটি রুপি আয় করে এক নতুন ব্যবসায়িক মাইলফলক স্থাপন করেছিল।

সিনেমাটির প্রধান আকর্ষণ ছিল শাহরুখ খান ও কাজলের জুটি, যা বলিউডে প্রেমের নতুন ধারা সৃষ্টি করে। তবে এই গল্পের একটি স্মরণীয় এবং দ্বন্দ্বপূর্ণ চরিত্র ছিলেন সিমরানের বাবা বলদেব সিং (অমরেশ পুরী)। তিনি সিমরানকে আধুনিক স্বাধীনতা (বিদেশে পড়াশোনা, ইউরোপ ভ্রমণ) দিলেও বিয়ের সিদ্ধান্তে কঠোর নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখেন। এই নিয়ন্ত্রিত স্বাধীনতার চিত্রণ বলিউডের পরবর্তী সিনেমা, যেমন 'কবীর সিং' বা 'টু স্টেটস'-এও দেখা যায়।

শুটিংয়ের দিনগুলো কাজলের কাছে এখনো টাটকা। তিনি জানান, সুইজারল্যান্ডে বন্ধুদের সঙ্গে থাকার মতো করেই তারা কাজ করতেন, তবে ১৫ মিনিটের মধ্যে পোশাক পাল্টানো বা পাহাড় বেয়ে গড়িয়ে পড়ার মতো পাগলাটে ঘটনাও ঘটেছিল। কেবল রাজ-সিমরানের রসায়নই নয়, যতিন-ললিতের সুরে তৈরি 'মেহেন্দি লাগা কে রাখনা', 'তুঝছে দেখা তো'-এর মতো গানগুলোও তুমুল জনপ্রিয়তা অর্জন করে, যা আজও বিয়েবাড়িতে বাজানো হয়। উদিত নারায়ণ স্মৃতিচারণ করেন, গান রেকর্ডিংয়ের সময় শাহরুখ খান চার ঘণ্টা অপেক্ষা করেছিলেন, যা গানটির প্রতি সবার নিষ্ঠা প্রমাণ করে।

অন্যদিকে, কুলজিতের চরিত্রে অভিনয় করা পারমিত শেঠিকে চরিত্রটি পাওয়ার জন্য লড়তে হয়েছিল, এমনকি পরিচালক আদিত্য চোপড়াকে রাজি করাতে নিজস্ব ভিএইচএস রেকর্ডিং দেখাতে এবং সংলাপে পাঞ্জাবি স্বাদ আনতে হয়েছিল। এই ছবিটি ব্রিটিশ ফিল্ম ইনস্টিটিউট এবং জাতীয় পুরস্কারসহ ১০টি ফিল্মফেয়ার পুরস্কার জিতেছিল। অনেকবার রিমেকের কথা উঠলেও, কাজলসহ ভক্তরা মনে করেন, এই ম্যাজিক একবারই ঘটে, তাই রিমেক করা উচিত নয়।

ত্রিশ বছর পরও মুম্বাইয়ের মারাঠা মন্দির সিনেমা হলে ছবিটি এখনো চলছে। সিনেমা হলের প্রধান মনোজ দেশাই জানান, সাধারণ দিনেও তরুণ দম্পতি ও ছাত্রছাত্রীরা ভিড় করে এবং রবিবারে এই সংখ্যা প্রায় ৫০০-তে পৌঁছায়। ছবির ক্লাইমেক্স—যেখানে বাবা তার মেয়েকে ছেড়ে দেন সেই "যা সিমরান, জি লে আপনি জিন্দেগি" মুহূর্তটি—আজও দর্শকদের মধ্যে একই উচ্ছ্বাস সৃষ্টি করে। সমালোচকরা মনে করেন, এই সিনেমাটি দুই প্রজন্মের সংস্কৃতির সংঘাতকে সুন্দরভাবে তুলে ধরেছে, তাই এটি একধরনের সাংস্কৃতিক প্রতীক হিসেবে চিরকাল চলবে।

আজ, ২০ অক্টোবর, ১৯৯৫ সালে মুক্তি পেয়েছিল বলিউডের ইতিহাসের অন্যতম সেরা রোমান্টিক সিনেমা 'দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে' (DDLJ), যা আজ ৩০ বছর পূর্ণ করল। কয়েক দশক পেরিয়ে গেলেও রাজ (শাহরুখ খান) ও সিমরানের (কাজল) রসায়ন আজও দর্শকদের বুঁদ করে রেখেছে। মাত্র ৪ কোটি রুপি বাজেটে নির্মিত এই সিনেমাটি ১০৮ কোটি রুপি আয় করে এক নতুন ব্যবসায়িক মাইলফলক স্থাপন করেছিল।

সিনেমাটির প্রধান আকর্ষণ ছিল শাহরুখ খান ও কাজলের জুটি, যা বলিউডে প্রেমের নতুন ধারা সৃষ্টি করে। তবে এই গল্পের একটি স্মরণীয় এবং দ্বন্দ্বপূর্ণ চরিত্র ছিলেন সিমরানের বাবা বলদেব সিং (অমরেশ পুরী)। তিনি সিমরানকে আধুনিক স্বাধীনতা (বিদেশে পড়াশোনা, ইউরোপ ভ্রমণ) দিলেও বিয়ের সিদ্ধান্তে কঠোর নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখেন। এই নিয়ন্ত্রিত স্বাধীনতার চিত্রণ বলিউডের পরবর্তী সিনেমা, যেমন 'কবীর সিং' বা 'টু স্টেটস'-এও দেখা যায়।

শুটিংয়ের দিনগুলো কাজলের কাছে এখনো টাটকা। তিনি জানান, সুইজারল্যান্ডে বন্ধুদের সঙ্গে থাকার মতো করেই তারা কাজ করতেন, তবে ১৫ মিনিটের মধ্যে পোশাক পাল্টানো বা পাহাড় বেয়ে গড়িয়ে পড়ার মতো পাগলাটে ঘটনাও ঘটেছিল। কেবল রাজ-সিমরানের রসায়নই নয়, যতিন-ললিতের সুরে তৈরি 'মেহেন্দি লাগা কে রাখনা', 'তুঝছে দেখা তো'-এর মতো গানগুলোও তুমুল জনপ্রিয়তা অর্জন করে, যা আজও বিয়েবাড়িতে বাজানো হয়। উদিত নারায়ণ স্মৃতিচারণ করেন, গান রেকর্ডিংয়ের সময় শাহরুখ খান চার ঘণ্টা অপেক্ষা করেছিলেন, যা গানটির প্রতি সবার নিষ্ঠা প্রমাণ করে।

অন্যদিকে, কুলজিতের চরিত্রে অভিনয় করা পারমিত শেঠিকে চরিত্রটি পাওয়ার জন্য লড়তে হয়েছিল, এমনকি পরিচালক আদিত্য চোপড়াকে রাজি করাতে নিজস্ব ভিএইচএস রেকর্ডিং দেখাতে এবং সংলাপে পাঞ্জাবি স্বাদ আনতে হয়েছিল। এই ছবিটি ব্রিটিশ ফিল্ম ইনস্টিটিউট এবং জাতীয় পুরস্কারসহ ১০টি ফিল্মফেয়ার পুরস্কার জিতেছিল। অনেকবার রিমেকের কথা উঠলেও, কাজলসহ ভক্তরা মনে করেন, এই ম্যাজিক একবারই ঘটে, তাই রিমেক করা উচিত নয়।

ত্রিশ বছর পরও মুম্বাইয়ের মারাঠা মন্দির সিনেমা হলে ছবিটি এখনো চলছে। সিনেমা হলের প্রধান মনোজ দেশাই জানান, সাধারণ দিনেও তরুণ দম্পতি ও ছাত্রছাত্রীরা ভিড় করে এবং রবিবারে এই সংখ্যা প্রায় ৫০০-তে পৌঁছায়। ছবির ক্লাইমেক্স যেখানে বাবা তার মেয়েকে ছেড়ে দেন সেই "যা সিমরান, জি লে আপনি জিন্দেগি" মুহূর্তটি আজও দর্শকদের মধ্যে একই উচ্ছ্বাস সৃষ্টি করে। সমালোচকরা মনে করেন, এই সিনেমাটি দুই প্রজন্মের সংস্কৃতির সংঘাতকে সুন্দরভাবে তুলে ধরেছে, তাই এটি একধরনের সাংস্কৃতিক প্রতীক হিসেবে চিরকাল চলবে।