'তেরে ইশক মে'র অগ্রিম বুকিং: বক্স অফিসে আলো জ্বালাতে প্রস্তুত ধনুশ ও কৃতি স্যানন অভিনীত ছবি; জাতীয় চেইনগুলোতে বিক্রি হলো ১০,০০০ টিকিট
চলচ্চিত্রটির অগ্রিম বুকিংয়ের শুরু থেকেই ইঙ্গিত দিচ্ছে, প্রথম দিনের আয়ের অঙ্ক দুই অঙ্কের কোঠায় পৌঁছাবে। এই অঙ্ক কত দূর যেতে পারে, তা নির্ভর করবে এটি কতটা গতি সঞ্চয় করতে পারে তার ওপর।

মনে হচ্ছে বক্স অফিস আরও একবার একটি মিউজিক্যাল লাভ স্টোরির 'ইশকে' (প্রেমে) পড়তে চলেছে! 'তেরে ইশক মে'-র অগ্রিম বুকিং গতকাল শুরু হয়েছে, যা বেশ ভালো সাড়া ফেলেছে। আজ সকাল পর্যন্ত ধনুশ ও কৃতি স্যানন অভিনীত এই ছবিটি পিভিআরআইএনওএক্স এবং সিনেপলিস -এর মতো জাতীয় চেইনগুলোতে ১০ হাজার টিকিট বিক্রি করেছে।

জাতীয় চেইনগুলোর বাইরেও ছবিটি ভালো আকর্ষণ সৃষ্টি করেছে। গুজরাট-ভিত্তিক রাজহংস চেইন ৩০০টিরও বেশি টিকিট বিক্রি করেছে, যা একটি চমৎকার শুরু। সাধারণত শুরুর দিকে এটি খুব বেশি অগ্রিম টিকিট বুকিং করা চেইন নয়। গুজরাটে অগ্রিম বুকিংয়ের ভালো শুরু বক্স অফিসের জন্য একটি ইতিবাচক লক্ষণ, কারণ যে ছবি গুজরাটে ভালো করে, তা সাধারণত অন্য জায়গাতেও সফল হয়। ধারণা করা হচ্ছে, মুক্তির কাছাকাছি সময়ে ছবিটি আরও বেশি গতি পাবে, বিশেষত যখন ছোট চেইন এবং সিঙ্গল স্ক্রিনের বুকিং শুরু হবে।

এ বছর যে মিউজিক্যাল লাভ স্টোরিগুলো সফল হয়েছে, সেগুলো মূলত এই ছোট কেন্দ্রগুলোর মাধ্যমেই গতি পেয়েছিল এবং এই ছবির ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটবে বলে আশা করা হচ্ছে। প্রাথমিক অগ্রিম বুকিং থেকেই স্পষ্ট যে ছবিটি দুই অঙ্কের একটি উদ্বোধনী দিনের আয় নিশ্চিত করেছে। এটি কতটা ওপরে যেতে পারে, তা নির্ভর করবে এটি কী ধরনের গতি সঞ্চয় করতে পারে তার ওপর। এই ছবির জন্য এটি খুবই ভালো একটি শুরু হতে চলেছে।

ছবিটিতে পরিচিত মুখ থাকলেও, তাঁদের কেউই এমন তারকা নন যে কেবল তাঁদের উপস্থিতির জোরেই ছবি দেখতে দর্শক হলমুখী হবেন। বরং, এই ছবির সাফল্য আসছে এর মিউজিকের কারণে। এ বছর এই নিয়ে চতুর্থবারের মতো এমন ঘটনা হল যে, শুধুমাত্র ভালো মিউজিকের কারণে কোনো তারকা-নির্ভরতা ছাড়া একটি ছবি বক্স অফিসে ভালো শুরু করল। হিন্দি সিনেমার ক্ষেত্রে সঙ্গীতের গুরুত্বকে কোনোভাবেই উপেক্ষা করা যায় না। বক্স অফিসের খারাপ সময়ের অন্যতম কারণ হলো সঙ্গীতের মানের পতন। তাই খারাপ সময়ে সঙ্গীতই যে পরিত্রাতা হিসেবে এগিয়ে আসছে, তা খুবই স্বাভাবিক, এবং চলচ্চিত্র শিল্পের এখন এই বিষয়টি থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত।