‘কেদারনাথ’, ‘সিম্বা’, ‘আতরঙ্গি রে’ থেকে শুরু করে সাম্প্রতিক প্রশংসিত ‘মেট্রো ইন দিনো’ টানা বেশ কয়েকটি ছবিতে অভিনয় করে বলিউডে নিজের স্বতন্ত্র জায়গা করে নিয়েছেন অভিনেত্রী সারা আলী খান। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস ডটকম-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানান, কীভাবে কাজ ও ব্যক্তিগত জীবনের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করতে হয়, বাবা সাইফ আলী খানের কাছ থেকে তা শিখেছেন।
সাইফ ও অমৃতার বিবাহবিচ্ছেদের পর মায়ের কাছে থাকলেও বাবা-মেয়ের সম্পর্ক দারুণ। সারা বলেছেন, ‘কাজের মূল্য দিতে হয় নিশ্চয়, তবে ব্যক্তিগত সুখকেও যে গুরুত্ব দিতে হয়, এটাই বাবা আমাকে শিখিয়েছেন। সাফল্যের মাঝেও মাটিতে পা রেখে কীভাবে বিনয়ী থাকা যায়, সেটা তাঁর থেকেই শিখেছি। আমি সেই পথেই চলার চেষ্টা করি।’
ব্যস্ততার মধ্যেও নিজের জন্য সময় বের করতে ভালোবাসেন সারা। বই পড়া বা নতুন শহর ঘুরে দেখা দুটিই তাঁর প্রিয় শখ। ‘আমি কোনো গল্পের মধ্যে হারিয়ে যেতে ভালোবাসি। ভ্রমণের মাধ্যমেই স্থির এবং শান্ত থাকি আর ভ্রমণে নতুন নতুন অভিজ্ঞতা আমার সৃজনশীলতাকে আরও জাগিয়ে তোলে,’ বললেন সারা। কাজের বাইরে পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটানো তাঁকে সবচেয়ে বেশি সতেজ এবং ফুরফুরে রাখে, জানিয়েছেন অভিনেত্রী।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্রসঙ্গে সারার ভাষ্য, ‘আমার মনে হয় সোশ্যাল মিডিয়া সেই বন্ধুর মতো, যে আনন্দ দেয় আবার কখনো কখনো বাড়াবাড়িও করে ফেলে। এটা সংযোগ স্থাপন ও সৃজনশীলতার জন্য দারুণ। তবে ট্রল, তুলনা আর নিখুঁত দেখানোর চাপও আসে। চেষ্টা করি এসব কিছুকে বেশি গুরুত্ব না দিতে, ভালোটুকু নিই, বাকিটা বাদ দিই। আমার মূল্য কখনোই ‘লাইক’-এর সংখ্যায় মাপা যায় না।’
অভিনেত্রী না হলে সারা কী হতেন, হালকা হেসে তারকা-কন্যা জানিয়েছেন যে অভিনয়ে না এলে হয়তো তিনি ‘শায়েরা’ (কবি) হতেন। ‘দ্বিপদী লিখতাম, পার্টিতে আবৃত্তি করতাম। হয়তোবা সারা কি শায়রি, সব পে ভারী নামের ইনস্টা সিরিজও শুরু করতাম। লেখালেখির প্রতি আমার ভালোবাসা ছিল সব সময়। ইতিহাস ও রাজনীতি নিয়ে পড়েছি, তাই সংবাদমাধ্যমে বা শিক্ষামূলক কাজ করতে পারতাম,’ বললেন তারকা–কন্যা।