অভিনেত্রী অহনা মনে করেন, সালমান শাহ বেঁচে থাকলে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্প বলিউডের চেয়েও এগিয়ে যেত। তাঁর মতে, সালমানের ক্যারিশমা এবং জনপ্রিয়তা ঢালিউডে বড় পরিবর্তন আনতে পারত এবং ভারত-বাংলাদেশে চলচ্চিত্র বিনিময়ের নতুন যুগ শুরু হতো। সালমান শাহের অকাল মৃত্যু আজও চলচ্চিত্রপ্রেমীদের মনে গভীর বেদনা রেখে গেছে।
দেশের চলচ্চিত্র অঙ্গনের একসময়ের ক্ষণজন্মা নায়ক সালমান শাহের সম্ভাবনা নিয়ে যেন এখনো ফিসফাস থামেনি। সম্প্রতি অভিনেত্রী অহনা এক সাক্ষাৎকারে সেই আক্ষেপের আগুন আরও একবার উসকে দিলেন। তাঁর মতে, সালমান শাহের মতো প্রতিভা বেঁচে থাকলে আজ ঢালিউড বলিউডের চেয়েও এগিয়ে যেতো
অহনার কথায়, সালমান শাহ ছিলেন এমন এক তারকা, যিনি ইন্ডাস্ট্রির পুরো চিত্রটাই বদলে দিতে পারতেন। তাঁর বিশ্বাস,"সালমান শাহ যদি থাকতেন তাহলে বাংলাদেশের ইন্ডাস্ট্রি বলিউডের চেয়েও এগিয়ে যেত,"অহনা জোর দিয়ে বলেন।
তিনি মনে করেন, তাঁর ক্যারিশমা এদেশের চলচ্চিত্রকে আমূল বদলে দিতো।
সবচেয়ে বড় আক্ষেপের জায়গা হলো, অহনা ভাবেন সালমান শাহ বেঁচে থাকলে বলিউডের সঙ্গে ঢালিউডের এক দারুণ মেলবন্ধন তৈরি হতো।
"চিন্তা করেন তো সালমান শাহ-শাহরুখ একসঙ্গে মুভি করলে কী হতো? বাংলাদেশের আর্টিস্টরা গিয়ে বলিউডে অভিনয় করতেন, বলিউডের আর্টিস্টরা এসে ঢালিউডে সিনেমা করতেন। তাই হতো, কিন্তু তা তো হচ্ছে না, হবে না।"
অহনা মনে করেন, সালমান শাহের জনপ্রিয়তা ছিল আকাশছোঁয়া, যা এখনো বহু তারকা অনুকরণ করার চেষ্টা করে। তিনি বলেন, সালমান শাহের স্টাইল এখনো অনেকে নকল করে। কিন্তু "তাঁর মতো নায়ক বললেই হয়ে যায় না। এত সহজ নয়।" শাহরুখ খান, গৌরী খান, সালমান শাহ এবং তাঁর স্ত্রীর একটি পুরোনো ছবিই প্রমাণ করে যে সেই সময়ে সালমান শাহের অবস্থান কতটা উঁচুতে ছিল।
প্রসঙ্গত, মাত্র চার বছরের ক্যারিয়ারে ২৭টি চলচ্চিত্র উপহার দিয়ে ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ঢাকার ইস্কাটনের বাসায় ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় সালমান শাহর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। যদিও একাধিক তদন্ত সংস্থা ঘটনাটিকে আত্মহত্যা বলেছে, তবুও তাঁর পরিবার বরাবরই একে 'পরিকল্পিত হত্যা' বলে দাবি করে আসছে। এই রহস্য আজও উন্মোচিত হয়নি, যা বাংলাদেশের চলচ্চিত্রপ্রেমীদের হৃদয়ে এক গভীর ক্ষত হয়ে রয়ে গেছে।