উপমহাদেশের কিংবদন্তি কণ্ঠশিল্পী রুনা লায়লার জন্মদিন আজ। বিশেষ এই দিনে সহকর্মী, অনুরাগী ও শুভানুধ্যায়ীদের ভালোবাসায় ভাসছেন তিনি। সংগীতে ছয় দশকের উজ্জ্বল পথচলার পাশাপাশি ব্যক্তিজীবনেও রয়েছে এক অনুপ্রেরণাময় গল্প। ঢালিউডের প্রিয় মুখ অভিনেতা আলমগীরের সঙ্গে তার প্রেম ও দাম্পত্য সবসময়ই ভক্তদের আগ্রহে। অনুরাগীদের মনে বহুদিনের প্রশ্ন এই তারকা দম্পতির প্রেমের সূত্রপাত কীভাবে, কে আগে ভালোবাসার কথা জানিয়েছিলেন?
বছর ছয়েক আগে ঈদের একটি আড্ডায় নিজেদের প্রেমকাহিনি খোলামেলা তুলে ধরেছিলেন আলমগীর ও রুনা লায়লা। সঞ্চালক আফসানা মিমি যখন প্রশ্ন করেছিলেন, ‘কে প্রথম কাছে এসেছিলেন? কে আগে ভালোবাসার কথা বলেছিলেন?’ আলমগীর হেসে উত্তর দিয়েছিলেন, ‘দুইজনেই।’ তবে রুনা লায়লা সেই কথায় দ্বিমত পোষণ করে জানান, আসলে তিনিই আগে প্রস্তাব পেয়েছিলেন।
রুনা বলেন, ‘ও (আলমগীর) অনেক আগেই বলেছিল। প্রথমে আমি না বলে দিই। তখন সে বলে, ‘আমি অপেক্ষা করব।’ আমি আবারও না বলি। পরে বলতেই রাজি হয়ে যাই।’
১৯৯৫ সালে ‘শিল্পী’ সিনেমায় একসঙ্গে কাজ করতে গিয়ে দু’জনের পেশাদার সম্পর্ক ধীরে ধীরে ব্যক্তিগত অনুভবে রূপ নেয়। তবে মজার বিষয় হলো, ‘এই ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব প্রথমে ফিরিয়েই দিয়েছিলেন আলমগীর। পরবর্তীতে সেই ছবিই হয়ে ওঠে দু’জনের সম্পর্কের পথচলার সূচনা।’ এরপর ১৯৯৯ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন রুনা লায়লা ও আলমগীর। বর্তমানে এক ছাদের নিচে ২৬ বছর ধরে সংসার করছেন এই তারকা দম্পতি।
আলমগীরের প্রথম স্ত্রী ছিলেন গীতিকার খোশনূর আলমগীর। আর রুনা লায়লারও এর আগে দুটি বিয়ে হয়েছিল। প্রথম স্বামী খাজা জাভেদ কায়সার এবং দ্বিতীয় স্বামী রন ড্যানিয়েলে। সবকিছু পেছনে ফেলে ভালোবাসা, সম্মান ও বোঝাপড়ার ভিত্তিতে নতুন জীবন শুরু করেছিলেন তারা দুজন। সেই পথচলা দীর্ঘ হচ্ছে।