গায়ক নেহা কক্কর ও তার ভাই টনি কক্করের নতুন গান ‘ক্যান্ডি শপ’ প্রকাশের পর থেকেই অনলাইনে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে। ১৫ ডিসেম্বর মুক্তি পাওয়া এই একক গানটি মুক্তির শুরুতে এর রঙিন ভিজ্যুয়াল ও প্রাণবন্ত সুরের কারণে নজর কাড়লেও খুব দ্রুতই বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে। গানটির লিরিক্স ও ইঙ্গিতপূর্ণ নাচের মুদ্রাকে কেন্দ্র করে একাংশ শ্রোতা তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করছেন।

সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে ব্যবহারকারীরা গানটিকে “ক্রিঞ্জ”, “অশ্লীল” এবং “সস্তা ভিজ্যুয়ালের ওপর নির্ভরশীল” বলে আখ্যা দিয়েছেন। অনেকেই নেহা-টনি কক্কর জুটির বিরুদ্ধে কে-পপ শিল্পীদের নকল করার চেষ্টা করার অভিযোগ তুলেছেন। কারও মতে, গানটি ভারতীয় বা কোরিয়ান কোনো ধারার সাথেই মানানসই নয় এবং এতে শৈল্পিক দিক দুর্বল।

একাধিক মন্তব্যে নেহা কক্করের নাচের ভঙ্গি ও স্টাইল নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। কেউ কেউ বলেছেন, আন্তর্জাতিক পপ বা কে-পপ ভাইব ধরতে গিয়ে গানটি অতিরিক্ত কৃত্রিম ও অস্বস্তিকর হয়ে উঠেছে। লিরিক্সের পুনরাবৃত্তি নিয়েও সমালোচনা এসেছে, বিশেষ করে টনি কক্করের সঙ্গীতধারা নিয়ে আগের অভিযোগগুলো নতুন করে সামনে এসেছে।

তবে সমালোচনার পাশাপাশি নেহা কক্করের পক্ষে বক্তব্যও এসেছে। তার সমর্থকদের একাংশ মনে করছেন, শিল্পীর নতুন কিছু নিয়ে পরীক্ষা করার অধিকার রয়েছে এবং নিজের কমফোর্ট জোনের বাইরে গিয়ে কাজ করাটাই সৃজনশীলতার অংশ। তাদের মতে, প্রতিটি নতুন কাজকে একভাবে বিচার করা ঠিক নয়।

নেহা কক্কর ছোটবেলা থেকেই সংগীতের সঙ্গে যুক্ত। চার বছর বয়সে পরিবারের আয়ে সহায়তার জন্য তিনি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ভজন গাইতে শুরু করেন। পরে ‘ইন্ডিয়ান আইডল’-এর দ্বিতীয় সিজনে অংশ নিয়ে পরিচিতি পান। ‘আঁখ মারে’, ‘দিলবার’, ‘হউলি হউলি’, ‘মোর্নি বাঁকে’-এর মতো একাধিক জনপ্রিয় হিন্দি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন তিনি এবং বর্তমানে বিভিন্ন মিউজিক রিয়েলিটি শোতে বিচারকের ভূমিকায়ও দেখা যায় তাকে।

চলতি বছরের শুরুতে মেলবোর্নে এক কনসার্টে মঞ্চে কান্নায় ভেঙে পড়ার ভিডিও ভাইরাল হয় নেহা কক্করের। অভিযোগ অনুযায়ী, অনুষ্ঠানে দেরিতে পৌঁছানোর কারণে দর্শকদের একাংশ অসন্তোষ প্রকাশ করলে এই ঘটনা ঘটে। পরে তিনি আয়োজকদের বিরুদ্ধে ভুল তথ্য ছড়ানোর অভিযোগ তোলেন।

সব মিলিয়ে, ‘ক্যান্ডি শপ’ গানটি নেহা-টনি কক্কর জুটির জন্য আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকলেও, প্রশংসার চেয়ে সমালোচনাই আপাতত বেশি প্রাধান্য পাচ্ছে।