দূরত্ব হার মানে যেখানে: প্রিয়দর্শিনী মৌসুমী ও ওমর সানীর প্রেমকথা

ঢালিউডের জনপ্রিয় জুটি মৌসুমী এবং ওমর সানী তাদের প্রেম যেন সিনেমার চিত্রনাট্যকেও হার মানায়। প্রতি বছর নভেম্বর এলেই ওমর সানীর জীবনে উৎসবের মেজাজ, কারণ এই মাসেই তাঁর প্রিয়দর্শিনী স্ত্রীর জন্মদিন! কিন্তু গত দুটো বছর ধরে এই বিশেষ দিনটিতে যেন একটা বিষাদের ছায়া।

ভাবুন তো একবার, যেখানে ভালোবাসার মানুষটি পাশে থাকলে জমকালো আয়োজনে কেক কাটার কথা, সেখানে সানীকে থাকতে হচ্ছে এপার বাংলায় আর মৌসুমী ব্যস্ত সুদূর যুক্তরাষ্ট্রে। বলা হচ্ছে, তিনি মায়ের সেবা করছেন। দূরত্বটা শারীরিক, কিন্তু মন? মন তো আর ভিসা-পাসপোর্টের তোয়াক্কা করে না!

তাই তো মনের অব্যক্ত কথাগুলো সানী ঢেলে দিলেন তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ার পাতায়। জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি লিখলেন সেই চিরন্তন সত্য কথাটি: "শুভ জন্মদিন প্রিয়দর্শিনী মৌসুমী। দূরে থেকেও আমরা কাছে, এটাই বাস্তব।" এই কয়েকটি শব্দেই যেন চাপা পড়ে গেল গত দুই বছরের না-দেখা, না-ছোঁয়া সব আফসোস।

সানী ঠিকই বলেছেন, ভালোবাসা আর বোঝাপড়া যখন গভীর হয়, তখন হাজার মাইলের দূরত্বও নগণ্য হয়ে যায়। গত বছরও যখন মৌসুমী বিদেশে ছিলেন, তখন মন খারাপের সুর বেজেছিল সানীর কণ্ঠে। তবে বাস্তবতাকে মেনে নিয়েছিলেন তিনি।

আর এদিকে প্রিয়দর্শিনী মৌসুমীও মন খারাপ করেন দেশের জন্য। তিনি তাঁর প্রিয় সানী আর ছেলে ফারদিনকে কাছে না পেয়ে যেন এক অপূর্ণ আনন্দ নিয়ে জন্মদিন উদযাপন করেন। তাঁরও ইচ্ছে হয়, দেশে থাকলে ভক্তদের ভিড়, বন্ধু-বান্ধবদের আনাগোনা, কেক আর ফুলেল শুভেচ্ছা সব মিলিয়ে জমজমাট একটা দিন কাটানোর।

১৯৭৩ সালের এই দিনে জন্ম নেওয়া মৌসুমী 'কেয়ামত থেকে কেয়ামত' দিয়ে তাঁর যে যাত্রা শুরু করেছিলেন সালমান শাহকে পাশে নিয়ে, সেই পথচলায় তাঁর জীবনের সবচেয়ে বড় নায়ক হয়ে এলেন ওমর সানী। শুটিং সেট থেকে শুরু হওয়া সেই প্রেম কখন যে গোপনে গাঁটছড়া বেঁধে পরে জমকালো বিয়ের রূপ নিল, তা যেন আজও সবার মুখে মুখে ফেরে। জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত এই অভিনেত্রীর জীবনের গল্পে এখন একটাই সুর দূরত্ব যতই বাড়ুক, হৃদয়ের বাঁধন সবসময় অটুট।

এই দূরত্বের গল্পটি প্রমাণ করে, সত্যিকারের ভালোবাসা কখনো হারিয়ে যায় না, শুধু প্রেক্ষাপট পরিবর্তন হয়। সানী এবং মৌসুমী যেন সেই ভালোবাসারই এক জ্বলন্ত উদাহরণ।