শ্রীদেবীর কন্যা হলেও খুশি কাপুরের জন্য বলিউডে পথ সহজ ছিল না। প্রতিটি পদক্ষেপে তাকে তুলনা করা হয়েছে মা শ্রীদেবী বা বোন জাহ্নবী কাপুরের সঙ্গে। নেটিজেনদের সমালোচনা ও কটাক্ষের মুখে পড়তে হলেও খুশি থেমে থাকেননি। নিজের মতো করে এগিয়ে চলেছেন এবং নিজের জায়গা তৈরি করছেন। সম্প্রতি ফিল্মফেয়ারে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি খোলাখুলি কথা বলেছেন নিজের ক্যারিয়ার, পরিবার ও জীবনের শিক্ষার বিষয়ে।
খুশি মায়ের কাছ থেকে পাওয়া শিক্ষাকে সবচেয়ে মূল্যবান মনে করেন। তিনি বলেন, “মা কীভাবে কাজ করতেন এবং পরিবারের খেয়াল রাখতেন, তা দেখার সুযোগ পেয়েছি। আমাদের বড় করার জন্য দীর্ঘ সময় কাজ করেননি। পরিবারের জন্য তাঁর সেই ত্যাগ আমার কাছে অমূল্য শিক্ষা।”
অভিনয় যাত্রা শুরু হয়েছিল নেটফ্লিক্সের ‘দ্য আর্চিজ’ দিয়ে। ছবিটি মুক্তির পর সমালোচনার মুখে পড়লেও খুশির জন্য এটি ছিল এক নতুন অভিজ্ঞতা। এরপর ‘লাভইয়াপা’-তে জুনাইদ খানের সঙ্গে বড় পর্দায় অভিষেক হয় এবং তৃতীয় ছবি ‘নাদানিয়াঁ’-তে ইব্রাহিম আলী খানের বিপরীতে কাজ করেন। প্রতিটি প্রজেক্ট তাকে নতুন কিছু শিখিয়েছে। তিনি বলেন, “প্রতিটি ছবি আমাকে আলাদা অভিজ্ঞতা দিয়েছে। প্রত্যেক পরিচালক, প্রতিটি সেটের পরিবেশ, এমনকি ওয়ার্কশপও ভিন্ন ছিল। তাই প্রতিটি প্রজেক্ট আমাকে সমৃদ্ধ করেছে।”
সহকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্কের কথাও শেয়ার করেছেন খুশি। জুনাইদ ও ইব্রাহিমের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা ইতিবাচক ছিল। তিনি বলেন, “কাজের পরিবেশ ভালো থাকলেই ফলও ভালো আসে। জুনাইদের সঙ্গে কম সময় শুটিং করেছি, তবে তার উপস্থিতি কাজকে সহজ করেছে। ইব্রাহিম সহজ-সরল মানুষ; ওর সঙ্গে কাজ করতে স্বস্তির পরিবেশ তৈরি হয়।”
পরিবার থেকে পাওয়া শিক্ষাও খুশির কাছে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, “জাহ্নবী কঠোর ও সৎ মানুষ। সে অন্যকে ভালোবাসতে জানে, অন্যের জন্য লড়াই করতে জানে। আমি শুধু ভালোবাসি না, ওকে সম্মানও করি।” ভাই অর্জুন তাঁকে সহনশীলতা ও মানসিক শক্তি অর্জন করতে শিখিয়েছেন, আর অংশুলা কাপুরের যত্নশীলতাকে খুশি একজন অভিভাবকের মতো মনে করেন।
ভবিষ্যতের পরিকল্পনা প্রসঙ্গে খুশি বলেন, তিনি ভালো গল্পের ছবির অংশ হতে চান এবং চরিত্রগুলোর মাধ্যমে একজন অভিনেত্রী হিসেবে আত্মতৃপ্তি পেতে আগ্রহী। মা শ্রীদেবীর নামের ভার, বোন জাহ্নবীর সাফল্য ও সমালোচনার চাপ সবকিছুর মাঝেই খুশি ধীরে ধীরে নিজের জায়গা তৈরি করছেন। কঠিন পথ হলেও তাঁর দৃঢ় মনোবল স্পষ্ট।