দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসানের মতে, জীবনে সাফল্য অর্জনে মেধার চেয়ে বেশি প্রয়োজন অদম্য ইচ্ছাশক্তি ও আত্মনিবেদন। তার ভাষায়, “মেধা দিয়ে খুব বেশি কিছু হয় না। লক্ষ্যে পৌঁছানোর অদম্য ইচ্ছা থাকতে হবে। নিজের কাছে নিজে পরীক্ষা দিয়ে দিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। তাহলেই সাফল্য আসবে।”
সম্প্রতি জনপ্রিয় পডকাস্ট ‘বিহাইন্ড দ্য ফেইম উইথ আরআরকে’-এর দ্বাদশ পর্বে অতিথি হয়ে এসে নিজের জীবন ও কর্মজীবনের নানা অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন তিনি। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেছেন রুম্মান রশীদ খান এবং প্রযোজনা করেছেন জেড আই ফয়সাল। পর্বটি প্রচারিত হবে শনিবার (১৮ অক্টোবর) রাত ৯টায়, মাছরাঙা টেলিভিশন ও রেডিও দিনরাত ৯৩.৬ এফএমে।
অভিনয় ও ব্যক্তিগত জীবন
অভিনয় জীবনের শুরুর দিকের কথা স্মরণ করে জয়া বলেন, “অভিনয় জীবনের অনেক বছর আমি ক্যামেরার অ্যাঙ্গেলই চিনতাম না। গুণী নির্মাতাদের দক্ষ নির্দেশনার কারণে এখন হয়তো অভিনয়ের অ আ ক খ শিখতে পেরেছি।” তার মতে, এই পর্যায়ে আসার পেছনে পরিশ্রম ও ধৈর্যই ছিল প্রধান চালিকা শক্তি।
নিজেকে ‘পুরোনো জিনিসের ভক্ত’ আখ্যা দিয়ে জয়া জানান, “আমি পুরোনোতে বাঁচি। যা কিছু পুরোনো, তা শুধু অতীত নয়। অতীত আমার কাছে বর্তমান ও ভবিষ্যতের সেতুবন্ধ।” কথোপকথনের একপর্যায়ে তিনি জানান, তার বাসায় প্রায় ২০০ বছর পুরোনো একটি আলমিরা রয়েছে এবং সেই খাটটিও সংরক্ষিত আছে, যেখানে তার জন্ম হয়েছিল।
নেতিবাচকতা ও কাজ নিয়ে ভাবনা
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নেতিবাচক মন্তব্য নিয়ে জয়া বলেন, “কমেন্টবক্স আমি খুব একটা পড়ি না। তবে যখন পড়ি, খারাপ লাগে সেসব মানুষের জন্য, যারা পৃথিবীতে অশোভন মন্তব্য রেখে যাচ্ছেন। যারা বাজে কথা ছড়িয়ে আনন্দ পান, তারা একদিন না থাকলেও সেই কথাগুলো থেকে যাবে। তার পাপ হবে, আমার কিছুই হবে না।”