কলকাতাতেও দারুণ জনপ্রিয় জয়া আহসান। আবীর চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে তার বন্ধুত্ব বহু দিনের, আর এই জুটির পর্দার রসায়ন দর্শকের কাছে আলাদা মাত্রা পায়। সম্প্রতি জয়া এমন কিছু কথা বলেছেন, যা শুনে বোঝা যায় আবীরকে তিনি কতটা সম্মান করেন, আর ঠিক কতটাই বা মুগ্ধতা আছে তার মধ্যে।

জয়ার মতে, ইন্ডাস্ট্রিতে অনেকের সঙ্গে কাজ করলেও আবীর আলাদা ধরনের মানুষ। নির্ঝঞ্ঝাট, শান্ত, আর আশ্চর্যরকম ভদ্র। তিনি বললেন, তার সবচেয়ে বেশি কাজ হয়েছে আবীরের সঙ্গে, আর এ-ও সত্যি যে ইন্ডাস্ট্রিতে তার সবচেয়ে বড় কমফোর্ট জোন এই আবীরই।

জয়া বলেন, কোনো আড্ডায় বা আলোচনায় কখনো কাউকে নিয়ে সমালোচনা করতে তিনি আবীরকে দেখেননি। এমন কথা কোনোদিন শোনেনওনি, যা কাউকে কষ্ট দিতে পারে। এখানেই নাকি আবীরের জায়গা তার জীবনে একটু বেশি উঁচুতে। যদিও জয়া নিজেই মজা করে বলেন 'টকঝাল গল্প সবাই ভালোবাসে, আর আবীরের মধ্যেও নিশ্চয়ই সেটা আছে, শুধু কেউ ধরতে পারে না।'

‘পুতুল নাচের ইতিকথা’-র কাজ করতে কয়েকদিন আগে তারা গিয়েছিলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। জয়া বলেন, আবীর ভেতরে ঢোকার মুহূর্তে যেন সব চোখ তার দিকে গিয়ে আটকে গেল। চারপাশের হৈচৈ, মুগ্ধ দৃষ্টি সব মিলিয়ে সে এক অন্যরকম দৃশ্য। ভক্তদের ভালোবাসা সামলে রাখা সহজ নয়, কিন্তু আবীর সেটা অবিশ্বাস্যভাবে সামলে নেন।

জয়ার চোখে, আবীর থেকে শেখার আছে অনেক কিছু। সংসার আর কাজ দুই দিকই তিনি এত সুন্দরভাবে সামলান যে, সেটা সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে। পরিবারকে গুরুত্ব দেন, আবার কাজেও পুরো মনোযোগ। এই ভারসাম্যটুকুই নাকি তাকে আলাদা করে। জয়ার ভাষায়, এমন একজন মানুষকে বন্ধু হিসেবে পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার।

শেষে জয়া বলেন, আবীরের আবেগ, অনুভূতি সবটাই আসে মন থেকে। এতে কোনো ভান নেই। তিনি চান, আবীর যেন সারাজীবন এমনই থাকেন। যেসব কাজ অনেকেই করতে পারেন না, আবীর সেগুলো করেন সহজভাবে, আর বারবার দেখিয়ে দেন, কাজ আর পরিবার একসঙ্গে সামলানো অসম্ভব কিছু নয়।