মারাঠি ও হিন্দি সিনেমার অভিনেত্রী গিরিজা ওক সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারের কারণে নীল শাড়ি পরা তাঁর ছবি দিয়ে রাতারাতি সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হন এবং 'জাতীয় ক্রাশ' হিসেবে পরিচিতি পান। তবে এই জনপ্রিয়তার আড়ালে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার করে বিকৃত করা তাঁর অশ্লীল ছবি অনলাইনে ছড়িয়ে পড়ে এবং অভিনেত্রী মারাত্মক হয়রানির শিকার হন। সম্প্রতি মুখ খুলে গিরিজা জানান যে, পুরুষদের কাছ থেকে তিনি ভয়ংকর অভিজ্ঞতা পেয়েছেন, যার মধ্যে ছিল কুরুচিকর বার্তা ও তাঁর 'এক ঘণ্টা সময় কাটানোর দাম কত?' এমন 'রেট' জিজ্ঞাসা করার মতো প্রশ্নও।

৩৭ বছর বয়সী এই অভিনেত্রী আরও বলেন, যে পুরুষেরা পর্দার আড়ালে তাঁকে অশ্লীল বার্তা দেন, তাঁরা বাস্তব জীবনে তাঁর সামনে এলে হয়তো মুখও তুলে তাকাবেন না। কিন্তু ভার্চুয়াল স্পেসের সুযোগ নিয়ে মানুষ যা খুশি তাই বলতে পারে। গিরিজা এই পরিস্থিতিকে 'অদ্ভুত' আখ্যা দিয়ে ভার্চুয়াল স্পেসের গুরুত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।

এআই দ্বারা বিকৃত অশ্লীল ছবিগুলো ভাইরাল হওয়ার পর তিনি ইনস্টাগ্রামে ভিডিও শেয়ার করে তীব্র নিন্দা জানান। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, তাঁর ছবিগুলোকে যৌনতা এবং পণ্য হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে, যা তাঁর স্বাচ্ছন্দ্যের মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। একজন ১২ বছর বয়সী ছেলের মা হিসেবে এই ঘটনা তাঁকে আরও বেশি কষ্ট দিয়েছে। তিনি মনে করেন, বেশি ক্লিক ও ভিউ পাওয়ার উদ্দেশ্যে এই ধরনের বিকৃত ছবি তৈরি ও প্রচার করা হয়।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম 'দ্য লালানটপ'কে দেওয়া সাক্ষাৎকারের সূত্রেই গিরিজাকে নিয়ে চর্চা শুরু হয়। দুই দশকের ক্যারিয়ারে 'তারে জমিন পার', 'জওয়ান'-এর মতো সিনেমায় অভিনয় করলেও মারাঠি ইন্ডাস্ট্রির বাইরে তাঁর পরিচিতি তেমন ছিল না। তবে এই ভাইরাল হওয়ার ঘটনা তাঁকে পুরো ভারতে পরিচিত করবে।