অভিনেতা র মাধবন তাঁর আসন্ন ছবি GDN-এর প্রথম লুক টিজার প্রকাশ করেছেন। সোমবার ইনস্টাগ্রামে তিনি একটি ভিডিও শেয়ার করেন, যেখানে তিনি ‘ভারতের এডিসন’ নামে খ্যাত জি.ডি. নায়ডুর ভূমিকায় দেখা যাচ্ছেন।

GDN-এ মাধবনের অচেনা রূপ
এই বায়োপিকে র মাধবন সম্পূর্ণ অচেনা দেখাচ্ছেন। ৪৩ সেকেন্ডের ভিডিওটিতে নায়ডু হিসেবে মাধবনকে কাজ করতে দেখা যায়। পোস্টের ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, "জি.ডি. নায়ডুর আত্মা এখন আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মোচিত। এটি এক অসাধারণ দৃষ্টি, উচ্চাকাঙ্ক্ষা এবং অটল সংকল্পের গল্প। আমরা গর্বের সঙ্গে GDN-এর প্রথম লুক টিজার উপস্থাপন করছি।"

ভিডিওটি Varghese Moolan Pictures-এর ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ করা হয়েছে ক্যাপশনের সঙ্গে, "উত্তরাধিকার উন্মোচন! র মাধবন রূপান্তরিত হলেন জি.ডি. নায়ডুতে, স্ব-শিক্ষিত প্রকৌশলী ও শিল্পপতি, যাকে প্রায়ই 'ভারতের এডিসন' বলা হয়। GDN-এর প্রথম লুক উপস্থাপন করছি একটি গল্প যা বলা প্রয়োজন।"

অভিনেতার রূপান্তরে ফ্যানরা মুগ্ধ
টিজার প্রকাশের পর ফ্যানরা মাধবনের রূপান্তরে মুগ্ধ হয়ে মন্তব্য করেছেন। একজন লিখেছেন, “ওমজি, মাধবন প্রতি বার নতুন মানদণ্ড ছাড়িয়ে যাচ্ছেন! আরেকটি অসাধারণ কাজের অপেক্ষায়।” আরেকটি কমেন্টে বলা হয়েছে, “কিছু মানুষ পুরস্কারের পিছনে দৌড়ায়। র মাধবনের জন্য অপেক্ষা করাই যথেষ্ট। #NationalAward।”

একজন লিখেছেন, “আমি আমার চোখের বিশ্বাস করতে পারছি না। এটি আমার জন্য এক চমকপ্রদ অভিজ্ঞতা।” অন্য একজন ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারী মন্তব্য করেছেন, “কত অসাধারণ! কী চেহারা, কী সৃজনশীলতা।” একজন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী লিখেছেন, “প্রথম দর্শনে মনে হলো এটি একটি মাস্টারপিস। মাধবনের দৃষ্টি পুরো গল্প বলে দিচ্ছে। মাধবন সবসময় নিজেকে ছাড়িয়ে যান। কী জাদু!”

GDN সম্পর্কে
চলচ্চিত্রটি লিখেছেন ও পরিচালনা করছেন কৃষ্ণকুমার রামাকুমার। প্রযোজনা করেছেন Varghese MoolanVijay Moolan (Varghese Moolan Pictures) এবং র মাধবন ও সারিতা মাধবন (Tricolour Films)। ছবিতে আরও অভিনয় করছেন সাথ্যরাজ, জয়ারাম, প্রিয়ামণি, দুশারা বিজয়ন, থাম্বি রামাইয়া এবং বিনয় রায়, ইত্যাদি। বর্তমানে ছবির শুটিং চলছে। এটি গ্রীষ্ম ২০২৬-এ বিশ্বব্যাপী মুক্তির পরিকল্পনা রয়েছে। সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন গোভিন্দ বসন্ত

প্রেস নোটে বলা হয়েছে, "জি.ডি. নায়ডুর বৈজ্ঞানিক উদ্ভাবন, প্রযুক্তি ও জনসেবায় অসামান্য অবদান তাকে ভারতের ইতিহাসে বিশেষ স্থান দিয়েছে। ‘ভারতের এডিসন’ এবং ‘কোইম্বাটোরের সম্পদ সৃষ্টিকারী’ হিসেবে পরিচিত নায়ডুর এই অব্যর্থ উত্তরাধিকার শুধুমাত্র ছবির মাধ্যমে নয়, তামিলনাড়ুর দীর্ঘতম সেতুর নামকরণের মাধ্যমে ও স্মরণ করা হয়।"