নব্বই দশকের বলিউডের অন্যতম উজ্জ্বল নায়িকা, যিনি একের পর এক হিট সিনেমার মাধ্যমে দর্শকের মন জয় করেছিলেন তিনি হলেন জুহি চাওলা। যদিও আজকাল তিনি সিনেমায় নিয়মিত অভিনয় করছেন না এবং গত দুই বছরে নতুন কোনো ছবি মুক্তি পায়নি, তবুও পর্দার বাইরে তিনি গড়ে তুলেছেন বিশাল এক আর্থিক সাম্রাজ্য। এক বছরের মধ্যে তার সম্পদ বেড়েছে ৩,১৯০ কোটি টাকা (প্রায় ৪,৩০০ কোটি রুপি), যা তাকে নিয়ে গেছে মোট ৭,৭৯০ কোটি রুপিতে (প্রায় ১০,৭০০ কোটি টাকা)।

একসময় বলিউডের সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিকপ্রাপ্ত নায়িকাদের মধ্যে ছিলেন জুহি। আজ তিনি ভারতের সবচেয়ে ধনী অভিনেত্রী হিসেবে স্বীকৃত। হারুন ইন্ডিয়া রিচ লিস্ট ২০২৫ অনুযায়ী, গত এক বছরে তার সম্পদ ৬৯ শতাংশ বেড়েছে। নারীর মধ্যে সম্পদ তালিকায় তিনি শীর্ষে এবং সামগ্রিকভাবে বলিউড অভিনেতাদের মধ্যে তিনি দ্বিতীয় স্থানে আছেন। তার ওপরে কেবল শাহরুখ খান (১২,৪৯০ কোটি রুপি)। জুহির পরে অবস্থান করছেন হৃতিক রোশন (২,১৬০ কোটি), করণ জোহর (১,৮৮০ কোটি) এবং অমিতাভ বচ্চন (১,৬৩০ কোটি রুপি)।

জুহির এই বিপুল সম্পদের মূল উৎস হলো ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) দল কলকাতা নাইট রাইডার্স (কেকেআর)। তিনি শাহরুখ খান এবং স্বামী জয় মেহতার সঙ্গে কেকেআরের সহমালিক। তাদের প্রতিষ্ঠান  রেড চিলিজ এন্টারটেইনমেন্ট এবং দ্য মেহতা গ্রুপের মাধ্যমে মালিকানা ভাগাভাগি করেছেন তারা। ২০২৪ সালের আইপিএলে কেকেআর শিরোপা জেতার পর দলের ব্র্যান্ড ভ্যালু হু হু করে বেড়েছে। আইপিএল ব্র্যান্ড ভ্যালুয়েশন স্টাডি অনুযায়ী, গোটা লিগের বাজারমূল্য ১.৪৫ লাখ কোটি রুপি, যার মধ্যে কেকেআরের একক মূল্য ১,৯১৫ কোটি রুপি।

২০১০-এর দশক থেকে জুহি ধীরে ধীরে সিনেমায় কাজ কমিয়ে এনেছেন, শুধুমাত্র নির্বাচিত প্রকল্পে অভিনয় করেছেন। তার সর্বশেষ কাজ হলো নেটফ্লিক্সে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘ফ্রাইডে নাইট প্ল্যান’ (২০২৩), যেখানে সহ-অভিনেতা ছিলেন বাবিল খান।

আজকের দিনে জুহি চাওলা শুধুই সাবেক সুপারস্টার নন; তিনি ভারতের অন্যতম সফল নারী বিনিয়োগকারীও বটে। বলিউডের গ্ল্যামার থেকে ব্যবসায়িক দূরদর্শিতা উভয় ক্ষেত্রেই সমান দক্ষতা প্রদর্শন করে তিনি প্রমাণ করেছেন যে, সিনেমার বাইরে থেকেও অসাধারণ সাফল্যের গল্প লেখা সম্ভব।