বহু প্রতীক্ষিত অ্যাকশন ফ্লিক 'বাঘি ৪' অবশেষে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে। টাইগার শ্রফ তার পরিচিত অ্যাকশন মুডে ফিরে এসেছেন এবং তার সঙ্গে এবার পাল্লা দিয়েছেন শক্তিশালী প্রতিপক্ষ হিসেবে সঞ্জয় দত্ত। ছবিটি মুক্তির পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এটি নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে। দর্শকদের একাংশ অ্যাকশনের প্রশংসা করলেও, গল্পের দুর্বলতা নিয়ে অনেকেই সমালোচনা করেছেন।

অ্যাকশন দৃশ্যের প্রশংসা, গল্পের দুর্বলতা নিয়ে প্রশ্ন

ছবিটি নিয়ে প্রাথমিক পর্যালোচনায় দেখা যায়, দর্শকরা টাইগার শ্রফের অ্যাকশন এবং অভিনয়ের তীব্রতার প্রশংসা করেছেন। বিশেষ করে ছবির ইন্টারভ্যাল এবং ক্লাইম্যাক্সের অ্যাকশন সিকোয়েন্সগুলো অ্যাকশনপ্রেমীদের মন জয় করেছে। একজন সমালোচক এটিকে "সিনেমাটির বাপ" বলে অভিহিত করেছেন এবং টাইগারকে তার "বিস্ট মোডে" দেখতে পেয়ে আনন্দ প্রকাশ করেছেন।

তবে অ্যাকশনের প্রশংসা পেলেও ছবির গল্প এবং চিত্রনাট্য নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। অনেকেই গল্পের দুর্বলতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এবং বলেছেন যে ছবিটি অতিরিক্ত সহিংসতা ও স্টাইলের ওপর নির্ভরশীল। একজন দর্শক ছবিটিকে "এভারেজ মাসালা ফিল্ম" বলে মন্তব্য করেছেন এবং এর গল্প ও চিত্রনাট্যকে "গড়পড়তা" বলে আখ্যা দিয়েছেন।

সেন্সর বোর্ডের কাঁচি ও পাইরেসির শিকার

ছবির অতিরিক্ত সহিংসতা এবং কিছু বিতর্কিত দৃশ্যের কারণে সেন্সর বোর্ড এটিতে ২৩টি কাট দেওয়ার পর 'এ' সার্টিফিকেট দিয়ে মুক্তির অনুমতি দিয়েছে। এর মধ্যে যিশুর মূর্তিতে ছুরিকাঘাত এবং সঞ্জয় দত্তের কাটা হাতে সিগারেট জ্বালানোর মতো দৃশ্যগুলো বাদ দেওয়া হয়েছে।

এদিকে, মুক্তির পরপরই ছবিটি পাইরেসির শিকার হয়েছে। বিভিন্ন পাইরেসি ওয়েবসাইটে এর এইচডি ভার্সন ফাঁস হয়ে গেছে, যা বক্স অফিসের আয়ের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

বক্স অফিসে মিশ্র ফলাফল

মুক্তির প্রথম দিনে ছবিটি বক্স অফিসে ১২ কোটি রুপি আয় করেছে। তবে সপ্তাহান্তে এর আয় কিছুটা কমেছে, যা বাণিজ্য বিশ্লেষকদের প্রত্যাশার চেয়ে কিছুটা কম। তারপরও প্রথম তিন দিনে ছবিটি ৩০ কোটি রুপি আয় করতে সক্ষম হয়েছে। এটি টাইগার শ্রফের জন্য একটি বড় বাজি, কারণ তার আগের কয়েকটি ছবি বক্স অফিসে তেমন সাফল্য পায়নি। এখন দেখার বিষয়, ছবিটি তার এই গতি ধরে রাখতে পারে কিনা।