আর মাধবন বলেছেন, প্রথম ভাগে তাঁর স্ক্রিন প্রেজেন্স সীমিত ছিল, কিন্তু রণবীর সিং অভিনীত 'ধুরন্ধর' ছবির সিক্যুয়েলে তাঁর চরিত্র বড় হবে। রণবীর সিংয়ের স্পাই চরিত্রটিকে মাধবন প্রশিক্ষণ দেবেন এবং তিনি নিশ্চিত করেছেন যে 'ধুরন্ধর ২' ছবিতে তাঁর ভূমিকা অনেক বড় হবে। ছবিটি মুক্তি পাবে ২০২৬ সালের ১৯ মার্চ।
মাত্র এক সপ্তাহ আগে মুক্তি পেয়েছে আদিত্য ধর পরিচালিত স্পাই অ্যাকশন থ্রিলার 'ধুরন্ধর', যা ইতিমধ্যেই বক্স অফিসে দারুণ ফল করছে। এই ছবির সিক্যুয়েল 'ধুরন্ধর ২'-এ তাঁর ভূমিকা যে আরও বড় হবে, তা নিশ্চিত করেছেন আর মাধবন। রণবীর সিং, আর মাধবন, অক্ষয় খান্না, অর্জুন রামপাল, সারা অর্জুন এবং সঞ্জয় দত্ত অভিনীত এই ছবিটি একজন ভারতীয় গুপ্তচরের পাকিস্তানে সন্ত্রাসী নেটওয়ার্কে প্রবেশের গল্প বলে। নির্মাতারা প্রথম ছবির শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেছেন যে 'ধুরন্ধর ২' মুক্তি পাবে ২০২৬ সালের ১৯ মার্চ।
বলিউড হাঙ্গামার সঙ্গে এক আলাপচারিতায় আর মাধবন পরিচালক আদিত্য ধরের প্রশংসা করেছেন এবং ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর ডিরেক্টর অজয় সান্যাল চরিত্রে তাঁর কাছ থেকে ভক্তরা কী আশা করতে পারেন, সে বিষয়ে কথা বলেছেন। তিনি পরিচালককে শান্ত ও ধীরস্থির উল্লেখ করে বলেন, "আদিত্য ধর একজন সন্ন্যাসীর মতো। এমন একটি ঘন ও তীব্র ছবি তৈরির সমস্ত বিশৃঙ্খলার মধ্যেও তিনি শান্তভাবে বসে থাকতেন। কী অসাধারণ একজন মানুষ! 'ধুরন্ধর'-এ আদিত্যের সঙ্গে কাজ করার পর আমি বারবার তাঁর সঙ্গে কাজ করতে চাই।"
অভিনেতা স্বীকার করেছেন যে প্রথম ভাগে তাঁকে আরও বেশি দেখার আশা করেছিলেন অনেক ভক্ত। তিনি বলেন, "প্রথম ভাগে আমার স্ক্রিন প্রেজেন্স সীমিত। তবে দ্বিতীয় ভাগে, যা মার্চে মুক্তি পাবে, সেখানে আমার চরিত্রকে প্রচুর পরিমাণে দেখা যাবে, কারণ সে রণবীরের চরিত্রটিকে গুপ্তচরবৃত্তির কৌশল সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেবে।"
'ধুরন্ধর ২'-এ ভক্তরা আশা করতে পারেন অজয় সান্যাল (আর মাধবন) এবং জাসকিরাত (রণবীর সিং) এর মধ্যেকার গুরু-শিষ্যের বন্ধনের কাহিনী। প্রথম ছবিতে জাসকিরাতের হামজাতে রূপান্তরিত হওয়ার কেবল কিছু ঝলক দেখানো হয়েছিল, যা দর্শকদের মধ্যে কৌতূহল জাগিয়েছিল। সিক্যুয়েলে মাধবনের নির্দেশনায় রণবীরের চরিত্রের নিবিড় প্রশিক্ষণ এবং বিবর্তনকে সামনে রেখে গল্পটি এগিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
মাধবন তাঁর কর্মব্যস্ত বছর নিয়েও কথা বলেছেন এবং জানিয়েছেন কিভাবে ২০২৫ সাল তাঁর কাছে অর্থবহ ছিল। তিনি বলেন, "আমি বছর শুরু করেছিলাম 'হিসাব বরাবর' দিয়ে। আর বছর শেষ করছি 'ধুরন্ধর' দিয়ে, যা আমার ক্যারিয়ারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ছবি। মণি রত্নম, কমল হাসান, রাজকুমার হিরানি, রাকেশ ওমপ্রকাশ মেহরা, আনন্দ এল রাই এবং এখন আদিত্য ধর-তাঁদের ক্যারিয়ারের সবচেয়ে সৃজনশীল ও উৎপাদনশীল পর্যায়ে সেরা পরিচালকদের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। এর চেয়ে বেশি আর কী চাইতে পারি!"