গত বছর মুক্তি পাওয়া অজয় দেবগন অভিনীত সিনেমা 'ময়দান' বক্স অফিসে চরম ব্যর্থ হয়েছে। ছবিটি তৈরি করতে প্রায় পাঁচ বছর লেগেছিল এবং এর বাজেট পরিকল্পনা ছাড়িয়ে ২১০ কোটি রুপিতে পৌঁছেছিল, অথচ আয় করেছে মাত্র ৬৮ কোটি রুপি। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ছবির প্রযোজক বনি কাপুর তার এই দুঃসহ অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন।
কেন বাজেট ফুলে-ফেঁপে উঠল?
বনি কাপুর জানান, 'ময়দান'-এর শুটিং ২০১৯ সালে শুরু হলেও করোনার কারণে তা দীর্ঘায়িত হয়। এর ফলে বাজেট ১২০ কোটি থেকে বেড়ে ২১০ কোটি রুপি হয়ে যায়। তিনি বলেন, "২০২০ সালের জানুয়ারিতে ছবির প্রায় ৭০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছিল। মার্চে ম্যাচের দৃশ্য ধারণের পরিকল্পনা ছিল, কিন্তু তখনই লকডাউন শুরু হয়।"
তিনি আরও বলেন, "একবার ঘূর্ণিঝড় এসে আমাদের তৈরি করা স্টেডিয়ামের সেট পুরোপুরি ভেঙে দেয়।" কোভিড বিধিনিষেধের কারণে শুটিং চলাকালে প্রায় ৮০০ জনের ইউনিটের সবার খাবারের জন্য তাজ হোটেল থেকে অর্ডার করতে হয়েছে, যা অনেক ব্যয়বহুল ছিল। এছাড়াও, একসঙ্গে ১৫০ জনের বেশি লোক শুটিং স্পটে থাকতে পারতো না, এবং আলাদা তাঁবুতে খাবার পরিবেশন করতে হয়েছে। শুধুমাত্র বোতলজাত পানি সরবরাহের খরচেই একটি ছোট বাজেটের সিনেমা বানানো সম্ভব হতো বলে তিনি জানান।
ঋণ নিয়ে দেনা শোধ
বক্স অফিসে ছবিটি ফ্লপ হলেও বনি কাপুর ইউনিটের কারও পাওনা আটকে রাখেননি। তিনি বলেন, 'ছবিটি ফ্লপ হয়েছে, কিন্তু যারা পরিশ্রম করেছে, তাদের দোষ নয়। আমি অনেকের টাকা মেটাতে ঋণ নিয়েছি।' তবে অনেকেই তাকে সাহায্য করেছেন, নিজেদের পারিশ্রমিকের ১০-১৫ শতাংশ কমিয়ে দিয়েছেন।
'ময়দান' পরিচালনা করেছেন অমিত রবীন্দ্রনাথ শর্মা। ছবিটি ভারতীয় ফুটবলের কিংবদন্তি কোচ সৈয়দ আবদুল রহিমকে নিয়ে নির্মিত হয়েছিল। এত বিশাল বাজেট, দীর্ঘ বিলম্ব এবং মহামারীর কারণে ছবিটি ভারতের ইতিহাসের অন্যতম বড় ফ্লপ ছবিতে পরিণত হয়েছে।