অভিনেত্রী আইশা খানের অভিনীত ‘শেকড়’ ছবির প্রিমিয়ার হতে যাচ্ছে কানাডার টরন্টোয় অনুষ্ঠিত ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল অব সাউথ এশিয়া (ইফসা)–তে। দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির আগেই বিদেশে প্রিমিয়ার হওয়ায় বেশ উচ্ছ্বসিত তিনি। আইশার ভাষায়, দক্ষিণ এশিয়ার আরও অনেক ভালো চলচ্চিত্র এই উৎসবে প্রদর্শিত হবে, যা যেকোনো শিল্পীর জন্যই সম্মানের। ‘শেকড়’ ছবিতে অভিবাসন, ভিটেছাড়া মানুষের বেদনা, আত্মপরিচয়ের সংকট ও অনুসন্ধানের গল্প ফুটে উঠেছে।
ছবিতে আইশা অভিনয় করেছেন ‘ফাল্গুনী’ চরিত্রে। নির্মাতা প্রসূন রহমান চরিত্রটির জন্য লম্বা উচ্চতার একজন পারফরমার খুঁজছিলেন। সহশিল্পী এফ এস নাঈম তাঁকে নির্মাতার কাছে সুপারিশ করেন। এরপর গল্প ও পরিকল্পনা শুনে আইশার মনে হয়, এতে তাঁর দেওয়ার মতো কিছু আছেম, তখনই কাজের জন্য রাজি হয়ে যান।
নাঈমের সঙ্গে এটাই তাঁর প্রথম কাজ। আইশা বলেন, “এর আগে ভাইয়ার সঙ্গে কখনো কাজ করিনি, তারপরও উনি আমাকে সাজেস্ট করেছেন এটা আমার জন্য বড় সৌভাগ্যের। অভিনেতা হিসেবে যেমন তিনি ভালো, মানুষ হিসেবেও অসাধারণ। শুটিংয়ের সময় অনেক আড্ডা হয়েছে, প্রসূন রহমান ভাইও খুব মজার মানুষ ছিলেন। ফলে পুরো শুটিংটাই ছিল আনন্দমুখর।”
অভিনয়ের পাশাপাশি এখন উপস্থাপনাতেও ব্যস্ত আইশা খান। বর্তমানে তিনি জনপ্রিয় সংগীতভিত্তিক অনুষ্ঠান ম্যাজিক বাউলিয়ানা-র পঞ্চম আসরে পুরো আয়োজনের উপস্থাপনা করছেন। দেশের নানা প্রান্তে গিয়ে গানের মানুষদের কাছ থেকে অনেক কিছু জানছেন। তিনি বলেন, “আমি গানের মানুষ নই, কিন্তু এখানে এসে গান সম্পর্কে অনেক কিছু শিখছি। বিশেষ করে কামরুজ্জামান রাব্বি ভাইয়ের কাছ থেকে অনেক সহযোগিতা পাচ্ছি। প্রডিউসার ও কপিরাইটার টিমও দারুণ সাপোর্ট করছে।”
ব্যস্ততার মাঝেও অবসর সময়টুকু বই পড়ে কাটান আইশা। সম্প্রতি জাপানি অনুবাদ সাহিত্য সংকলন পড়ছেন তিনি। আগের মতো নিয়মিত সিনেমা দেখা না হলেও কিছু পুরোনো প্রিয় ছবি আবার দেখছেন বিশেষ করে ঋতুপর্ণ ঘোষের রেইনকোট ও চোখের বালি তাঁর খুব পছন্দের। এছাড়া দেশি-বিদেশি ওটিটি কনটেন্টও দেখা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
নাটকে তাঁকে এখন কম দেখা যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে আইশা বলেন, “উপস্থাপনার ব্যস্ততা একটা কারণ, তবে মূল কারণ ভালো গল্পের অভাব। একই ধরনের গল্পে কাজ করতে আগ্রহ পাই না। ওটিটির ক্ষেত্রেও এখন তেমন গল্প পাচ্ছি না। আমি সব সময় ভালো গল্প ও চরিত্রের অপেক্ষায় থাকি, এখনো সেই অপেক্ষায় আছি।”