Wednesday সিজন ২ জুড়ে রহস্যময় একচোখা কাকের উপস্থিতি গল্পে এক অদ্ভুত উত্তেজনা ও অস্বস্তি তৈরি করে। সিরিজের এক পর্যায়ে কয়েকটি মৃত্যুসংবাদপত্র সামনে আসে, যেগুলো নিয়ে Wednesday তদন্ত শুরু করে। কিন্তু অবাক করা বিষয় হলো, ওই সংবাদপত্রে যাদের মৃত্যু বলা হয়েছে, তাদের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার জন্য রাখা কলসে কোনো মানব অবশিষ্টাংশ পাওয়া যায় না। এতে স্পষ্ট হয়, এই মৃত্যুগুলো হয়তো সাজানো এবং এর পেছনে রয়েছে গভীর কোনো ষড়যন্ত্র। ঠিক এমন সময় কাকটি হঠাৎ এসে সমস্ত মৃত্যুসংবাদপত্র ছিনিয়ে নেয় এবং উড়ে যায়, যা Wednesday-র হাতে থাকা একমাত্র প্রমাণও হারিয়ে যায়। এই ঘটনা রহস্যকে আরও ঘনীভূত করে তোলে—কাক কি শুধু পাখি, নাকি কারও নিয়ন্ত্রিত এক গুপ্তচর?

পরে জানা যায়, কাকটির নিয়ন্ত্রণে রয়েছে জুডি স্প্যানেগেল, যিনি উইলো হিল নামের একটি মনোরোগ হাসপাতালে কর্মরত এবং ‘অ্যাভিয়ান’ নামের এক আউটকাস্ট—যার বিশেষ ক্ষমতা হলো পাখি নিয়ন্ত্রণ করা। জুডির আসল উদ্দেশ্য ছিল Wednesday-র অনুসন্ধান থামিয়ে দেওয়া, যাতে নেভারমোর এবং জেরিকো শহরের অতীতের ভয়ঙ্কর গোপন তথ্য বাইরে না আসে। তদন্ত চলতে চলতে Wednesday পৌঁছে যায় ‘LOIS’ নামের এক গোপন প্রকল্পের সন্ধানে, যার পূর্ণরূপ Long-term Outcast Integration Study। এটি আসলে একটি গোপন গবেষণা, যেখানে আউটকাস্টদের বিশেষ ক্ষমতা কেড়ে নিয়ে ‘নর্মি’ বা সাধারণ মানুষের শরীরে প্রতিস্থাপন করার পরীক্ষা চলছিল।

এই ষড়যন্ত্রের মূল পরিকল্পনাকারী জুডি আসলে অগাস্টাস স্টোনহার্স্ট-এর কন্যা—যিনি একসময় নেভারমোরে শিক্ষক ছিলেন এবং পরে মনোরোগ চিকিৎসক হিসেবে কাজ করতেন। অগাস্টাস নর্মি হয়েও আউটকাস্টদের ক্ষমতা পাওয়ার লোভে এক ভয়ংকর পরীক্ষা চালান এবং তার মেয়েকেও অ্যাভিয়ানে রূপান্তরিত করেন। জুডি তার বাবার সেই উত্তরাধিকারকে ধরে রেখে একে আরও এগিয়ে নিয়ে যায়। তিনি বিভিন্ন আউটকাস্টকে ধরে হাসপাতালে বন্দি করে রাখতেন এবং তাদের মৃত্যুসংবাদপত্র তৈরি করতেন যাতে সবাই বিশ্বাস করে তারা মৃত। এভাবে আউটকাস্টদের গোপনে ব্যবহার করে LOIS প্রকল্প এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। এমনকি শেরিফ গ্যালপিনকেও হত্যা করা হয় এই গোপনীয়তা রক্ষার জন্য।

অবশেষে Wednesday-র অনুসন্ধানে LOIS প্রকল্পের সত্য ফাঁস হয়ে যায়, যা জেরিকো শহরে এক বিশৃঙ্খলার জন্ম দেয়। বন্দি আউটকাস্টরা মুক্ত হয়ে যায় এবং শহরে ভয় ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তবে এই ঘটনার পর নেভারমোর ও জেরিকোর ভবিষ্যৎ কী দাঁড়াবে, তা এখনো অজানা রয়ে গেছে, আর কাকের রহস্যও হয়তো এখানেই শেষ হয়নি।