জয়ব্রত দাস পরিচালিত বাংলা ছবি ‘দ্য একাডেমি অব ফাইন আর্টস’ মুক্তির আগে থেকেই আলোচনার কেন্দ্রে ছিল, বিশেষত ভারতের সার্টিফিকেশন বোর্ড এটিকে ‘অ্যাডাল্ট’ সনদ দেওয়ায়। সম্প্রতি কলকাতার কোনো বাংলা ছবিকে এমন সনদ দেওয়া হয়নি। ছবিটি প্রথমে ১৪ নভেম্বর মুক্তি পাওয়ার কথা থাকলেও, টালিগঞ্জের ফেডারেশন অফ সিনে টেকনিশিয়ানস অ্যান্ড ওয়ার্কার্স অফ ইস্টার্ন ইন্ডিয়া (ফেডারেশন) ছবিটির মুক্তি আটকে দেয়। ফেডারেশনের অভিযোগ ছিল, প্রযোজনা সংস্থা প্রমোদ ফিল্মস তাদের আগের দুটি ছবির কলাকুশলীদের বকেয়া পারিশ্রমিক মেটায়নি, যা ফেডারেশনের নিয়মবিরুদ্ধ। এই অপ্রত্যাশিত জটিলতায় পরিচালক জয়ব্রত দাস মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন বলেও জানান।

সপ্তাহখানেক ধরে টানাপোড়েনের পর দফায় দফায় বৈঠকের মাধ্যমে অবশেষে সমস্যার সমাধান হয়। আইনি জটিলতা কাটার পর গত শুক্রবার (২১ নভেম্বর, ২০২৫) কলকাতার ৩০টি প্রেক্ষাগৃহে সিনেমাটি মুক্তি পায়। এই সময়ে সিনেমার পরিবেশকও পরিবর্তন করা হয়; আইনক্স পিভিআরের বদলে পরিবেশনার দায়িত্ব নেন শতদীপ সাহা। তিনি জানান, সবকিছু শেষ মুহূর্তে ঠিক হওয়ায় আপাতত ৩০টি হলে দেখানো হবে এবং প্রথম সপ্তাহে ভালো ফল হলে প্রদর্শনের সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে।

সিনেমায় অভিনয় করেছেন একঝাঁক পরিচিত শিল্পী, যার মধ্যে রয়েছেন পায়েল সরকার, রুদ্রনীল ঘোষ, সৌরভ দাস, ঋষভ বসু, অনুরাধা মুখোপাধ্যায়, সুদীপ মুখোপাধ্যায়, অমিত সাহা, অনিন্দ্য পুলক বন্দ্যোপাধ্যায়, অঞ্জন রায় চৌধুরী, এবং রানা বসু ঠাকুর। এটি একটি পাল্প অ্যাকশন থ্রিলার ঘরানার ছবি, যা পরিচালক কুইন্টিন ট্যারান্টিনোর কাজের প্রতি ভালোবাসা থেকে অনুপ্রাণিত। সিনেমার মূল গল্পটি একটি বিরল অ্যানটিক মদের বোতলকে ঘিরে আবর্তিত হয়, যা চুরি করার জন্য কয়েকজন অপরাধী পরিকল্পনা করে। এরপরই শুরু হয় প্রতারণা, পরকীয়া, চুরি-ডাকাতি ও বিশ্বাসঘাতকতার এক শ্বাসরুদ্ধকর দৌড়। টলিপাড়ায় গুঞ্জন, এতে এমন ‘বোল্ড’ ও ‘বিস্ফোরক’ যৌনদৃশ্য রয়েছে যা বাংলা ছবিতে খুব কমই দেখা গেছে, আর এই কারণেই ছবিটি অ্যাডাল্ট সনদ পেয়েছে। পরিচালক দাবি করেন, থ্রিলারের সঙ্গে কমেডির এক নতুন মিশ্রণ বাংলা দর্শকের জন্য এটি এক নতুন অভিজ্ঞতা দেবে।