ছুটির দিন শুক্রবারেও মতিঝিল এলাকায় ছিল শত শত মানুষের ভিড়। দিলকুশা এলাকায় ঢাকাই সিনেমার শীর্ষ তারকা শাকিব খানের নতুন সিনেমা ‘সোলজার’-এর শুটিং চলছিল। পরিচালক সাকিব ফাহাদের তত্ত্বাবধানে সকাল থেকে লাইট-ক্যামেরা অ্যাকশনের ব্যস্ততায় জমে ওঠে পুরো এলাকা। শাকিবের আজকের লুক জলপাই রঙের শার্ট, সঙ্গে কার্গো প্যান্ট ছিল নজরকাড়া। পুরো এলাকাটি যেন সিনেমার যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয়েছিল।
'সোলজার'-এর দৃশ্যধারণের এই পর্বটি ছিল পুরো সিনেমার অন্যতম উত্তেজনাপূর্ণ অংশ একটি আন্দোলনের দৃশ্য। সকাল থেকেই সেট সাজানো হয়েছিল বাস্তবের আন্দোলনস্থলের মতো, যেখানে স্লোগানে স্লোগানে কেঁপে উঠছিল চারপাশ। দ্রব্যমূল্যের দাম ও সিন্ডিকেট নিয়ে ক্ষোভের দৃশ্য দেখে উৎসুক জনতা দ্বিধায় পড়ে যান, এটি বাস্তব আন্দোলন নাকি সিনেমার দৃশ্য। এই বিশাল ভিড়ের মধ্যে পুলিশি অ্যাকশন, স্টান্ট এবং শাকিব খানের উপস্থিতি পুরো পরিবেশকে জমিয়ে তুলেছিল।
ঠিক এমন উত্তেজিত মুহূর্তেই দৃশ্যের কেন্দ্রবিন্দুতে প্রবেশ করেন শাকিব খান। ক্যামেরা যখন তাঁর দিকে ঘুরল, তখন পুরো পরিবেশ আরও তীব্র হয়ে উঠল। নির্মাতারা দৃশ্যটি নিখুঁত করার জন্য শাকিব খানকে নিয়ে কয়েকবার টেক নেন। অন্যদিকে, আউটডোরে শুটিং হওয়ায় এবং শাকিব খানের লুক ও গুরুত্বপূর্ণ দৃশ্য যেন ফেসবুকে ফাঁস না হয়, সেজন্য প্রোডাকশন টিমের পক্ষ থেকে কঠোর নিরাপত্তা বজায় রাখা হয়েছিল।
সবকিছু স্বাভাবিক গতিতে চলছিল; একটি গুরুত্বপূর্ণ দৃশ্যের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন শাকিব খান। ঠিক সেই মুহূর্তেই আচমকা ঘটে গেল অপ্রত্যাশিত ঘটনা ভূমিকম্প! প্রথমে হালকা কম্পন, তারপর দ্বিতীয় দফায় ভবনগুলো দুলে উঠতেই সবাই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। অনেকে দৌড়ে রাস্তায় নেমে আসতে লাগলেন এবং শুটিং স্পটে মুহূর্তেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ল।
চোখের পলকেই নিরাপত্তারক্ষী, বডিগার্ড এবং শুটিং ইউনিটের সদস্যরা শাকিব খানকে ঘিরে ফেলেন। কিন্তু ঠিক তখনই সবচেয়ে শান্ত ছিলেন শাকিব খান নিজেই। কাঁপা সড়কের ওপর সোজা দাঁড়িয়ে তিনি আশপাশের সবাইকে বললেন, “আরে, আমরা তো রাস্তায় আছি। ভয় পাবেন না কেউ। কেউ আতঙ্কিত হবেন না। সব ঠিক আছে।” তাঁর এই দৃঢ় ও শান্ত কণ্ঠ শুনে ধীরে ধীরে স্বাভাবিকতা ফিরতে শুরু করে এবং কিছুক্ষণের মধ্যেই আবার 'সোলজার'-এর শুটিং শুরু হয়। এই ছবিতে শাকিবের নায়িকার চরিত্রে দেখা যাবে তানজিন তিশাকে।