ঈদুল ফিতরে মুক্তির সম্ভাবনা থাকায় দর্শকদের মধ্যে উত্তেজনার পারদ বেড়েই চলেছে। তবে এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সিনেমাটিকে ঘিরে ছড়িয়েছে বিভ্রান্তিকর তথ্য, বিশেষ করে এটি কোনো বাস্তব চরিত্রের (যেমন ‘কালা জাহাঙ্গীর’) জীবনী অবলম্বনে তৈরি—এই গুজব ঘিরেই শুরু হয় জল্পনা-কল্পনা।
শেষ পর্যন্ত মুখ খুলেছেন ছবির প্রযোজক শিরিন সুলতানা এবং পরিচালক আবু হায়াত মাহমুদ, যারা পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিয়েছেন: এই সিনেমা কোনো ব্যক্তির জীবনীভিত্তিক নয়, বরং একটি সম্পূর্ণ মৌলিক কাহিনি।
৩০ জুলাই, বুধবার এক লিখিত বিবৃতিতে পরিচালক ও প্রযোজক জানান, সোশ্যাল মিডিয়াতে যেসব তথ্য ছড়িয়েছে, তার অনেকটাই ভিত্তিহীন। আমাদের প্রোডাকশন হাউজ ‘ক্রিয়েটিভ ল্যান্ড’ এবং পরিচালক আবু হায়াত মাহমুদ কখনোই বলেননি যে ছবিটি কোনো বাস্তব ব্যক্তির জীবনী নিয়ে নির্মিত হচ্ছে।”
তারা বলেন “আমরা এমন একটি সিনেমা নির্মাণ করতে যাচ্ছি, যা গল্পে, নির্মাণে ও ক্যানভাসে ‘লার্জার দ্যান লাইফ’ হবে। গুলিস্তান থেকে গুলশান—সব শ্রেণির দর্শকের কথা মাথায় রেখে সিনেমাটি তৈরি হচ্ছে।”
‘কালা জাহাঙ্গীর’ সিনেমাটির প্রেক্ষাপট ১৯৯০-এর দশকের ঢাকা শহর। নির্মাতারা জানাচ্ছেন, এই গল্পে থাকবে:
-
ক্রাইম থ্রিলার
-
রোমান্স ও ইমোশন
-
পারিবারিক টানাপোড়েন
-
অ্যাকশন ও বাস্তবসম্মত সমাজচিত্র
এই সিনেমাটি যেন ঢাকাই চলচ্চিত্রে একটি নতুন মাত্রা যোগ করে, সেই লক্ষ্যে দেশ ও বিদেশে একাধিক টিম কাজ করে চলেছে প্রি-প্রোডাকশনের বিভিন্ন ধাপে।
পরিচালক আবু হায়াত মাহমুদ জানিয়েছেন
“পুরোদমে প্রি-প্রোডাকশন চলছে। আগস্ট মাসে আমরা সিনেমার চূড়ান্ত নাম ও আরও কিছু চমক ঘোষণা করবো।”
চিত্রনাট্য: মেজবাহ উদ্দিন সুমন ও মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন
গল্প: মেজবাহ উদ্দিন সুমন
শুটিং শুরু: নভেম্বর ২০২৫ (প্রস্তাবিত)
অভিনেতা-অভিনেত্রীদের তালিকা: খুব শিগগির প্রকাশ হবে
বর্তমানে শুধু শাকিব খান চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। তার বিপরীতে নায়িকা বা অন্যান্য চরিত্রের অভিনয়শিল্পীদের নাম এখনও ঘোষণা করা হয়নি।