জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সালমান শাহর রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনা দীর্ঘ ২৮ বছর পর নতুন মোড় নিল। অভিনেতার ছোট ভাই শাহরান চৌধুরীর দাবিতে অবশেষে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই মামলার প্রধান অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন সালমান শাহর স্ত্রী সামিরা হক, চলচ্চিত্র প্রযোজক আজিজ মোহাম্মদ ভাই এবং অভিনেতা ডনসহ মোট ১১ জন।
২০১৭ সালে এক লাইভ ভিডিওতে শাহরান অভিযোগ করেছিলেন, তাঁর ভাইকে খুন করা হয়েছে এবং পুরো ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়া হয়েছে। তিনি সে সময় বিস্ফোরক তথ্য দেন যে, সামিরাকে ‘কিস’ করার জেরে সালমান শাহ প্রকাশ্যে সোনারগাঁও হোটেলে আজিজ মোহাম্মদ ভাইকে চড় মেরেছিলেন। শাহরান আরও দাবি করেন, ঘটনার দিন সামিরাকে টাকার একটি বান্ডিলসহ হাতেনাতে ধরেছিলেন সালমান শাহ। সামিরা সেই টাকার উৎস জানাতে না পারায় সন্দেহ বাড়ে। শাহরানের ইঙ্গিত, এই অর্থ কোনো ষড়যন্ত্রের কাজে ব্যবহৃত হতে পারত।
মৃত্যুর পর ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ তুলে শাহরান জানিয়েছিলেন, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে দ্রুত পোস্ট মর্টেম করার জন্য তাঁর বাবা-মাকে কৌশলে আলাদা করে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল এবং তাঁকে পোস্ট মর্টেম প্রক্রিয়ায় উপস্থিত থাকতে দেওয়া হয়নি।
এছাড়াও, তিনি কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তুলেছিলেন: যদি সালমান শাহ ফ্যানে ঝুলে আত্মহত্যাই করেন, তবে তাঁর ওজনের কারণে ফ্যানটি বাঁকা বা ভেঙে পড়ল না কেন? আত্মহত্যার ঘটনাটি সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর কেন ঘটল? তাঁর রুমের দরজায় দায়ের কোপ বা দেয়ালে ধস্তাধস্তির চিহ্ন কিসের ইঙ্গিত দেয়? এমনকি, সালমান শাহর অভ্যস্ত ব্র্যান্ডের সিগারেটের বাইরে অন্য ব্র্যান্ডের সিগারেটের খোসা ঘরে পাওয়ার বিষয়টিকেও তিনি সন্দেহের চোখে দেখছেন। শাহরান দৃঢ়ভাবে দাবি করেন, তাঁর ঘনিষ্ঠ ভাই এমন কোনো চরম সিদ্ধান্ত নিলে অবশ্যই তাঁর সঙ্গে শেয়ার করতেন। দীর্ঘ বছর পর পরিবারের এমন দাবিতে মামলা হওয়ায় সালমান শাহর মৃত্যু রহস্য উন্মোচিত হওয়ার নতুন পথ দেখছে।