আলোচিত কন্টেন্ট ক্রিয়েটর রিপন মিয়া সম্প্রতি তার ফেসবুক পোস্টে প্রাণনাশের হুমকি ও পরিবারকে হেনস্তার অভিযোগ তোলার পর বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং গণমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি হয়। এই আলোচনার মধ্যেই তিনি জানালেন, একটি পক্ষের সঙ্গে তিনি দুই কোটি টাকা চুক্তিতে কনটেন্ট বানাতে রাজি হয়েছেন।

মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) বিকেলে নেত্রকোণা সদরের দক্ষিণ বিশিউড়া ইউনিয়নে তার নিজ বাড়িতে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলছিলেন রিপন মিয়া। এ সময় নতুন ভবন নির্মাণের কাজে ব্যস্ত ছিলেন মিস্ত্রিরা।

হুমকির কারণ: দুই কোটি টাকার অফার

ফেসবুকে দেওয়া অভিযোগ নিয়ে জানতে চাইলে রিপন মিয়া বলেন, “মূল সমস্যা হলো, কারো ভালো কেউ দেখতে পারে না। ভাইরাল হওয়ার পর থেকে যখন টাকা-পয়সা আসা শুরু হলো, তখন থেকেই ঝামেলা শুরু। একজন আমাকে দুই কোটি টাকার অফার দিয়েছিল তার সঙ্গে কাজ করার জন্য। আমি রাজি না হওয়ায় এসব ঝামেলা তৈরি হয়েছে। বিভিন্নভাবে আমাকে হুমকি দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, “আমার সঙ্গে আরও অনেকে কনটেন্ট বানানো শুরু করেছে। কিন্তু তারা আমার মতো জনপ্রিয় হতে পারছে না। তারাই এই ঝামেলাটা তৈরি করেছে।”

চুক্তিতে রাজি হলেন কেন?

রিপন মিয়া জানান, তিনি এখন সেই অফারে রাজি হয়েছেন। তিনি বলেন, “তবে আমি এখন রাজি হয়েছি তারা দুই কোটি টাকা ক্যাশ দেবেস্ট্যাম্পে চুক্তি করে এক বছরের জন্য তাদের সঙ্গে কাজ করব। সব ঠিকঠাক থাকলে সেই চুক্তি অনুযায়ী কাজ করব।”

তবে তিনি জানান, এই চুক্তির মাধ্যমে তাকে দিয়ে অসামাজিক কোনো কাজ করাতে পারবে না। কেন তিনি এই চুক্তিতে বাধ্য হচ্ছেন এমন প্রশ্নে রিপন বলেন, “কিছু বিষয় আছে যা সরাসরি বলা যায় না, বুঝে নিতে হয়। কিছু জিনিস দেখেও চোখকে বলি দেখো না, কানকে বলি শুনো না— এটাই বাস্তবতা।”

শিক্ষাগত যোগ্যতা ও পোস্ট প্রসঙ্গে

ফেসবুকে প্রাণনাশের হুমকি সংক্রান্ত পোস্ট নিয়ে প্রশ্ন করা হলে রিপন মিয়া বলেন, “এই বিষয়ে আমি সরাসরি কিছু বলতে পারব না। আমার ম্যানেজার আছে, তার সঙ্গে কথা বলতে হবে। আমি লেখাপড়া জানি না। 'ক' লিখতে গিয়ে কলম ভেঙে ফেলি। বাংলা সামনে এনে দিলে পড়তে পারি না। তাহলে ওই পোস্ট আমি কীভাবে করব, বুঝে নিন।

টেলিভিশনের সাংবাদিকের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা নিয়ে তিনি বলেন, “আমি বাড়িতে ছিলাম না, এমন সময় তারা হুট করে এসে ভিডিও করা শুরু করে। আমি চাইলে টেলিভিশনের নাম বলতে পারতাম, কিন্তু আমার পোস্টে কোনো টেলিভিশন বা সাংবাদিকের নাম উল্লেখ করিনি।