পুলিশ বলছে, রাইবেনা প্রতারণার মাধ্যমে ঋণ নিয়েছেন, আর সেই কারণেই তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। অভিযোগ অনুযায়ী, তিনি মোট ১৭ জনের কাছ থেকে প্রায় ১৯৫ মিলিয়ন বাথ নিয়েছিলেন। অর্থনৈতিক অপরাধ দমন বিভাগের প্রধান পোল মেজর জেনারেল তাসাপুম জারুপ্রত জানান, গত মাসের মাঝামাঝি সময়ে প্রথম অভিযোগ আসে, আর সেই অনুযায়ী তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
২ ডিসেম্বর পুলিশ তার বিরুদ্ধে সম্পত্তি জালিয়াতি ও ঋণসংক্রান্ত অভিযোগে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। গ্রেফতারের সময় প্রায় ১ কোটি বাথের সম্পদ জব্দ করা হয়। যার মধ্যে গাড়ি, বাড়ি, ব্যাগ, অলঙ্কার, আর্ট টয় সবই ছিল।
তদন্তে উঠে এসেছে, ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর থেকে রাইবেনা বিভিন্ন মানুষকে বাণিজ্যিক বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়ে টানছিলেন। ৪ থেকে ৭ শতাংশ মাসিক রিটার্ন, স্টক ট্রেডিং, বাস্কেটবল কোর্ট, বিদেশি খাবারের দোকান, এই ধরনের নানা প্রজেক্টের কথা বলা হয়েছিল।
অভিযোগকারীদের মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত নাম অভিনেত্রী জ্যানি তিয়েনফোসওয়ান। তিনি জানান, রাইবেনা তাকে আমেরিকায় একটি রেস্টুরেন্ট প্রজেক্টে বিনিয়োগ করতে উৎসাহ দিয়েছিলেন, কিন্তু পরে জানা যায় প্রজেক্টটির কোনো অস্তিত্বই নেই। জ্যানির দাবি, এতে তার প্রায় ৩০ মিলিয়ন বাথ ক্ষতি হয়েছে।
রাইবেনার আইনজীবী সাইয়ুদ পেংবুনচু বলেন, জামিনের জন্য পাঁচ লাখ বাথ সমমূল্যের সম্পদ প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, রাইবেনার আগে কোনো মামলা ছিল না এবং তার পরিবার বিষয়টি নিয়ে বেশ চাপের মধ্যে আছে।
অন্যদিকে পুলিশ জানায়, ১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় আইনজীবী আত্মসমর্পণের প্রস্তাব দিলেও তখন তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে সন্দেহভাজন ধরা হয়নি। পরে আগাম সমন ছাড়াই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। দোষ প্রমাণ হলে তার তিন বছরের বেশি সাজা হতে পারে।
রাইবেনা অবশ্য সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি দাবি করেন, কোনো ঋণ যে অবৈধ ছিল তা তিনি জানতেন না এবং সবার টাকা ফেরত দেওয়ার মতো সামর্থ্য তার আছে বলে তিনি বিশ্বাস করেন।