ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা নিলয় আলমগীর মডেলিং ও বিজ্ঞাপনের মধ্য দিয়ে শোবিজে পথচলা শুরু করলেও পরে নাটকে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও সক্রিয় এবং মাঝেমধ্যেই নানা সমসাময়িক ইস্যু নিয়ে মত প্রকাশ করেন।

বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) নিজের ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে নিলয় একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তুলেছেন। সেখানে তিনি শুটিং সেটের ভিডিও প্রকাশ করার নৈতিক যুক্তি কতটুকু তা জানতে চেয়েছেন।

নিলয় লেখেন, “পারিশ্রমিক নেওয়ার পরেও যারা ফেসবুক থেকে ডলার কামানোর জন্য নাটকের বিহাইন্ড দ্য সিনস (BTS) ভিডিও প্রকাশ করেন, ব্যাপারটা কতটুকু নৈতিক?”

তিনি ব্যাখ্যা করেন: “নাটকের প্রযোজক বা চ্যানেল মালিক টাকা ইনভেস্ট করে নাটক বানান। ইউটিউব, ফেসবুক, টিভি কিংবা ব্র্যান্ডিং থেকে সেই টাকা উঠানোর চেষ্টা করেন। সেই নাটকের অভিনয়শিল্পী থেকে শুরু করে পরিচালক, সহকারী পরিচালক, সিনেম্যাটোগ্রাফার, প্রোডাকশন, লাইটগ্রাফার, মেকআপম্যান, হাউজ, স্ক্রিপ্টরাইটার, ফটোগ্রাফার সবাই তাদের পারিশ্রমিক পান। এরপরও কিছু মানুষ শুটিং চলাকালীন সেটের ভিডিও নিজের পেজ বা আইডিতে পোস্ট করে আয় করেন। ব্যাপারটা কতটা নৈতিক?”

নিলয়ের অভিযোগ, অনেকে জিজ্ঞেস করলে বলেন, ‘প্রমোশন করছি’। কিন্তু এই প্রমোশন প্রযোজকের জন্য কতটা লাভজনক, তা প্রযোজকই ভালো জানেন। প্রমোশন করতে হলে প্রযোজক নিজেই বলবেন বা নিজের চ্যানেল থেকে করবেন।

নিলয় আরও যোগ করেন, ইউনিটের কেউ কেউ সিক্রেট চ্যানেল খুলে সেই BTS ভিডিও আপলোড করছে। খোঁজ নিলে দেখা যাবে তারা সহকারী পরিচালক বা ডিওপির সহকারী। তারা নিজেরা যদি শুটিং সেট থেকে ভিডিও না পায়, তবে শিল্পীদের আইডি বা পেজ থেকে তা সংগ্রহ করে নিজেদের গোপন চ্যানেলে দিচ্ছে। এতে সরাসরি ক্ষতি হচ্ছে প্রযোজকের।

সবশেষে এই অভিনেতা সতর্ক করে লেখেন, “এভাবে চলতে থাকলে প্রযোজকরা ভবিষ্যতে আইনি পদক্ষেপ নিতে পারেন। তখন বিপদে পড়বে কারা, সেটাও সবাইকে ভাবতে উচিত।”

উল্লেখ্য, এর আগেও একবার চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি নিলয় এ বিষয়ে ফেসবুকে সবাইকে সতর্ক করেছিলেন। নাটকে অভিনয়ের পাশাপাশি নিলয় আলমগীর এখন প্রযোজনাও করেন।