অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন সম্প্রতি ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন, যেখানে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ডের রায়ের পর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বুলডোজার নিয়ে যাওয়া ব্যক্তিদের ‘রাজাকার’ আখ্যা দেওয়া হয়েছে। এই মন্তব্যের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শাওনকে কড়া সমালোনার মুখে পড়তে হয়েছে। অনেকেই তাকে ‘ভারতীয় গুপ্তচর’ আখ্যা দিয়েছেন। ক্ষুব্ধ নেটিজেনরা দ্রুত তাকে গ্রেপ্তার করার দাবিও জানিয়েছেন, কেউ শাওনকে ‘আওয়ামী কালচারাল ফ্যাসিস্ট’ আখ্যা দিয়ে আইনের আওতায় আনার কথাও বলেছেন।

শাওনের পোস্টের জবাবে দিনাত জাহান মুন্নি লিখেছেন, “৩২ নম্বর তো, তাই ৩২ বার ভাঙতে হবে।” নাসির উদ্দিন খান বলেছেন, “সাহস থাকলে আজ ৩২ নম্বর আয়।”

মুহাম্মদ আল আমিন হোসাইন তাকে ‘শাহবাগি’ উল্লেখ করে শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। মাহদী হাসান ফরাজী প্রশ্ন তুলেছেন, দেশে থেকেও এত নিরাপদ থাকা সম্ভব কীভাবে? জামাল আজিজ বলেছেন, “বুলডোজার বারবার ৩২ না গিয়ে শাওনের বাড়িতে যাওয়া উচিত।” দিদারুল ইসলাম মন্তব্য করেছেন, “এ ধরনের কথা বলে শাওন এখনো বাসায় থাকতে পারছে এটাই হাসিনামুক্ত নতুন বাংলাদেশ।”

আফিয়া সিদ্দিকা জিজ্ঞেস করেছেন, “এই মেয়েটাকে এখনও কেন গ্রেপ্তার করা হয়নি?” মাকসুদ আলম পাটোয়ারী বলেছেন, “৩২ থেকে তার কান্নার শব্দে যেন আওয়ামী লীগের ঘুম ভাঙে।” শরীফুল ইসলাম শাওনের বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়ার দাবিও করেছেন। রুবেল কানিস মন্তব্য করেছেন, “শাওন ভারতের একজন গুপ্তচর হিসেবে বাংলাদেশে অবস্থান করছে, তাকে আইনের আওতায় আনা হোক, তার বাড়ি মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হোক।” মোহাম্মদ ইউনুস লিখেছেন, “লেজ কাটা শিয়ালের হুক্কা হুয়া ডাক।” ফজলে রাব্বি শাওনকে ‘ভারতীয় এজেন্ট’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।