একজন বহিরাগত হয়ে ইন্ডাস্ট্রিতে এসে একের পর এক হিট সিনেমা দিয়ে বলিউডে নিজের অবস্থান পোক্ত করে নিয়েছেন কার্তিক আরিয়ান। তবে মুম্বাইতে পা রাখার পর তাঁকে বেশ অর্থকষ্টের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। তিনি ভাড়া বাড়িতে থাকতেন এবং ঠিকমতো বাড়ির ভাড়াও দিতে পারতেন না। একসময় মনে হয়েছিল, মাথার উপর থেকে হয়তো ছাদটাও চলে যাবে। কিন্তু পরবর্তীতে ভাড়ায় থাকা সেই বাড়িটিই কিনে নেন কার্তিক।
সম্প্রতি ম্যাশেবল ইন্ডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কার্তিক আরিয়ান তাঁর সংগ্রামের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘আমি এমন একটি বাড়িতে চলে গিয়েছিলাম, যেখানে আমি একা থাকতাম। তবে আমি তখন অনেক লড়াই করছিলাম। আমার কাছে খুব বেশি টাকা আসত না, এবং আমার সিনেমাগুলোও সেভাবে চলছিল না।’
তিনি উল্লেখ করেন, ‘সেই সময় সবে 'প্যায়ার কা পঞ্চনামা' এসেছিল, কিন্তু সেটা আমার জন্য খুব একটা কাজ করেনি। এরপরে 'আকাশ বাণী'ও ভালো চলেনি, 'কাঞ্চি'ও ব্যর্থ হয়। চলেনি 'গেস্ট অফ লন্ডন'ও। লোক তো এই সিনেমাগুলোর নামও জানে না, কারণ চলেই নি!’
কার্তিক আরও বলেন, ‘বাড়ি ভাড়া চোকানোর মতো ক্ষমতাও আমার ছিল না। ভেবেছিলাম মাথার উপরের ছাদটাও না চলে যায়! একেক সময় ভাবতাম ভাড়া ভাগ করে নেওয়ার জন্য রুমমেট নিয়ে আসি। আর ঠিক সেইসময় 'সোনু কে টিটু কি সুইটি' চলে যায়। আমি তখন ভাড়া হিসাবে ২০০০ রুপি দিচ্ছিলাম। এক পর্যায়ে এটি ৪,০০০-এ উঠেছিল।’ এই বাড়িটিই কিনে নেওয়ার পুরো ঘটনাটা তাঁর মাকে অপরিসীম গর্বের অনুভূতি দিয়েছিল।
কাজের সূত্রে কার্তিক আরিয়ানকে সব শেষ দেখা গেছে গেল বছর, 'ভুলাইয়া ৩'-এ। এরপর তাঁকে 'চান্দু চ্যাম্পিয়ন'-এও দেখা গিয়েছিল। কার্তিককে আগামীতে দেখা যাবে অনন্যা পাণ্ডের সঙ্গে ‘তু মেরি ম্যায় তেরা, ম্যায় তেরা তু মেরি’-তে, যা চলতি বছরের ২৫ ডিসেম্বরে মুক্তি পাওয়ার কথা। এছাড়া ২০২৬ সালের মে মাসে তাঁর 'তু মেরি জিন্দেগি হ্যায়' মুক্তির আশা করা হচ্ছে।